শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ওই কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয় বলে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ্ আল আরেফিন জানান।
তিনি বলেন, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সোনারগাঁও, বন্দরসহ আশপাশের ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করছে।
“কীভাবে সেখানে আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যায়নি। এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।“
সোনারগাঁও রোডের অলিম্পিক বিস্কুট ফ্যাক্টরির উল্টো দিকেই জাহিন নিটওয়্যার্স কারখানা কমপ্লেক্স। ভেতরে ছয়টি ভবনে মোট ছয়টি ইউনিট। এর মধ্যে চারটি ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনাস্থলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “কেউ নিখোঁজ থাকার কোনো তথ্য আমাদের কাছে এখনও নেই। সবগুলো ভবনের আগুন নেভানোর পর ভেতরে তল্লাশি চালানো হবে। তখন প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাবে। আমাদের তদন্ত কমিটির কাজ শেষে বলা যাবে আগুন কীভাবে লেগেছে।”
কারখানার শ্রমিকদের সরদার জসিম মিয়া বলেন, শুক্রবার সপ্তাহিক ছুটি, তাই কারখানার বেশিরভাগ ইউনিট বন্ধ ছিল। তবে কয়েকটি ইউনিটে কাজ চলছিল। ভেতরে লোক ছিল অন্যদিনের চেয়ে অনেক কম।
“হঠাৎ দেখি উপরের তলায় আগুন জ্বলছে। প্রথমে দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে, এরপর দেখি উপরের দিকে উঠতে থাকে, তারপর ছড়িয়ে পড়ে। আমরা সবাই তখন বেরিয়ে আসছি।”
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন বলেন, “কমপ্লেক্সের চারটি ভবনেই আগুন ছড়িয়ে পড়ায় এবং কারখানার পরিসর বড় হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের।
“তবে ভেতরে কোনো শ্রমিক আটকা পড়েনি বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। হতাহতের কোনো খবর এখনও পাওয়া যায়নি।”