এর মধ্য দিয়ে দেশের প্রথম এ মেট্রো রেলের পুরো অংশের নিরবচ্ছিন্ন কাঠামো দৃশ্যমান হল।
বৃহস্পতিবার তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ৫৮২ ও ৫৮৩ নম্বর পিয়ারের মাঝে সর্বশেষ অংশে ভায়াডাক্টটি বসানো হয়।
পিয়ারগুলোর উপরে যে কংক্রিটের কাঠামো বসিয়ে যোগসূত্র তৈরি করা হয়, তাকে বলে ভায়াডাক্ট। ভায়াডাক্টের ওপরই বসবে রেললাইন, তার ওপর দিয়ে চলবে বৈদ্যুতিক ট্রেন।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ১ অগাস্ট প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা শুরু করা হয়। ওই অংশে গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ভায়াডাক্ট বসানোর কাজ শেষ হয়।
এম এ এন সিদ্দিক বলেন, সব ঠিক থাকলে আগামী ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে ট্রেন চলাচল শুরু করা যাবে বলে তারা আশা করছেন। এরপর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাবে ট্রেন।
“চলমান মাহামারীতেও লক্ষ্য অর্জনে কাজ অব্যাহত রাখা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, সকলে সহযোগিতায় আমরা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা সক্ষম হব।”
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ শুরুর পর সেই লক্ষ্য পূরণে কোনো জটিলতা দেখা দেবে কি না- এমন প্রশ্নে এমডি বলেন, “ওমিক্রন আসার পরে নতুন করে আমাদের প্রায় শতাধিক আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু আমরা এর মধ্যেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা এখনও বিশ্বাস করি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা এই অংশ (উত্তরা থেকে মতিঝিল) চালু করতে পারব।”
ঢাকা মেট্রো রেল প্রকল্পের কাজ হচ্ছে ৮টি প্যাকেজের আওতায়। এরমধ্যে ৩ থেকে ৬ পর্যন্ত চারটি প্যাকেজের আওতায় ভায়াডাক্ট ও স্টেশন নির্মাণের কাজ চলে।
ঢাকার প্রথম মেট্রো রেল লাইনের জন্য ২৪ সেট ট্রেন তৈরি করে দিচ্ছে জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি কনসোর্টিয়াম। দুই পাশে দুটি ইঞ্জিন আর চারটি কোচের সমন্বয়ে ট্রেনের সেটগুলো জাপানেই তৈরি হচ্ছে।