বুধবার সকালে তড়িঘড়ি করে চক্রটির দেওয়া দুটি নম্বরে এই টাকা পাঠানোর পর লাইন বিচ্ছিন্ন করে প্রতারকরা। এরপর ওই নারী ব্যাংক কর্মকর্তা বাসায় ফোন করেন।
তখন জানতে পারেন তার স্কুল পড়ুয়া ছেলে বাসায় রয়েছেন; অপহরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পুরোটাই ছিল সাজানো।
তিনি প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন বোঝার পর উত্তরা পশ্চিম থানায় অভিযোগ করেছেন। থানা পুলিশ বলছে, তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন।
উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক রায়হানুজ্জামান জানান, প্রতারক চক্রটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা শুরু করেছেন তারা।
পুলিশ বলছে, ওই ব্যাংক কর্মকর্তার পরিবারিক কিছু তথ্য নিয়েই চক্রটি প্রতারণার অভিনব ফাঁদ ফেলে। অন্য কোথাও যেন যোগাযোগ করতে না পারেন এ জন্য টাকা পাওয়ার আগে পর্যন্ত পুরোটা সময় ফোনে ব্যস্ত রাখেন। এটা প্রতারণার আরেকটি নতুন কৌশল।
তিনি এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাননি।
এবিষয়ে থানায় দায়ের করা সাধারণ ডায়েরিতে (জিডি) তিনি বলেন, সকাল ১১টা ২৬ মিনিটের দিকে তার মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। অপর প্রান্ত থেকে তার ছেলেকে আটকে রাখা হয়েছে বলে মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়।
“পুরো সময়টা আমাকে ফোনে রাখা হয় এবং ছেলের কণ্ঠও শোনানো হয়।”
তিনি অভিযোগে বলেছেন, দুই দফায় ২৫ হাজার করে ৫০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রতারণার কাজটি ঢাকা বাইরে থেকে করা হয়েছে। ছেলের কণ্ঠ প্রতারক চক্রের কেউ নকল করেছে বলে তাদের ধারণা।
উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই রায়হানুজ্জামান জানান, প্রায় এক ঘন্টা ফোনে ব্যস্ত রেখে প্রতারক চক্রটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
“প্রতারকের সঙ্গে ফোনের লাইনে কথা বলা অবস্থাতেই ওই ব্যাংক কর্মকর্তা ব্যাংক থেকে বের হয়ে বিকাশ এজেন্টের দোকানে গিয়ে টাকা পাঠান।”