বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন বিশেষ দূত নোলিন হেইজারের সঙ্গে মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এই অনুরোধ জানানো হয়।
বাংলাদেশের অগ্রাধিকারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন রয়েছে জানিয়ে সরকারের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন মাসুদ বিন মোমেন।
পঞ্চম বছরে এসেও রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে গিয়ে বাংলাদেশকে নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘমেয়াদি অবস্থান মানব ও মাদক পাচারের মতো সমস্যা তৈরি করছে, পুরো অঞ্চলেই যার প্রভাব রয়েছে।
“সুরক্ষা ও নিরাপত্তার সাথে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরানোর উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে বিশেষ দূত কার্যালয়ের কাজ করা উচিৎ।”
গত অক্টোবরে জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূতের দায়িত্ব পেয়েছেন সিঙ্গাপুরের নাগরিক হেইজার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মিয়ানমারে নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে মানবিক উদ্যোগ নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিশেষ দূত।
নিজের অগ্রাধিকার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে হেইজার আশ্বাস দিয়েছেন, রোহিঙ্গা ইস্যু তার এজেন্ডায় অগ্রাধিকারে থাকবে।