স্বামী হত্যার দায়ে মিটফোর্ডকর্মীর যাবজ্জীবন

স্বামীকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাভোগ করতে হবে ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের এক কর্মচারীকে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Jan 2022, 01:17 PM
Updated : 25 Jan 2022, 01:58 PM

প্রতীকী ছবি

শেফালী নামে এই নারী মিটফোর্ডে এমএলএসএস হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এক দশক আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার পরপরই খুন হয়েছিলেন তার স্বামী সাঈদ হাসান বাদল।

সেই মামলার রায়ে মঙ্গলবার ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেসমিন আরা বেগম রায় দেন।

রায়ে শেফালীর সঙ্গে তার দুই স্বজন নয়ন ও আক্কাস বেপারীরও যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রায়ের সময় তিনজনই আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে নেওয়া হয় বলে ট্রাইব্যুনালের পেশকার মিজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

বাদলও এক সময় মিটফোর্ড হাসপাতালে চাকরি করতেন। ১৯৯২ সাল থেকে ২০০৮ সালের ২ নভেম্বর পর্যন্ত মিটফোর্ড হাসপাতালের অ্যাকাউন্টস সেকশনে অফিস সহকারী ছিলেন তিনি।

তখনই তার সঙ্গে শেফালীর ঘনিষ্ঠতার পর ১৯৯৯ সালে দুজন বিয়ে করেন। তাদের ঘরে একটি মেয়েও আসে।

২০০৮ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান বাদল। সেখান থেকেই তিনি মেয়ের যাবতীয় খরচ বহন করতেন।

তবে এর মধ্যেই স্ত্রীর সঙ্গে বাদলের সম্পর্কের অবনতি ঘটে বলে মামলা সূত্রে জানা গেছে। যার জের ধরে ঘটে হত্যাকাণ্ড।

মামলার বিবরণিতে বলা হয়, ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি বাদল দেশে ফিরলে তাকে আনতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন তার ভাই জাহিদ হাসান। শেফালীও গিয়েছিলেন বিমানবন্দরে।  

সেদিন জাহিদের গাড়িতে করে তারা মিটফোর্ডে গিয়েছিলেন। জাহিদকে হাসপাতালে দাঁড় করিয়ে শেফালী স্বামী বাদলকে তার বাসায় নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর শেফালী বাইরে থাকা জাহিদকে জানান যে বাদল অসুস্থ, তাকে হাসপাতালে নিতে হবে।

এরপর অসুস্থ অবস্থায় বাদলকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

তবে মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ হলে বাদলের আরেক ভাই ডা. শহিদ হাসান কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

সেই মামলার তদন্তে বেরিয়ে আসে শেফালী অন্য আসামিদের সহযোগিতায় বাদলকে গলা টিপে হত্যা করেন।

২০১২ সালের ২৪ জুন তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ওই বছরের ৩০ অগাস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল কাদের। বাদীর নিজস্ব আইনজীবী হিসেবে ফকরুল ইসলামও মামলা পরিচালনায় ছিলেন।