বাস ডাকাতির পর মামলা করতে গিয়েও পেরেশান

গত শুক্রবার রাতে ঢাকার আব্দুল্লাহপুর থেকে বাসে টাঙ্গাইলে যাওয়ার পথে চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম পড়েছিলেন ডাকাতের কবলে। তিনি যেখানে উদ্ধার পান, তার কাছের থানা যাত্রাবাড়ীতে গিয়েও মামলা করতে পারেননি তিনি।

গোলাম মর্তুজা অন্তু জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Jan 2022, 06:30 PM
Updated : 24 Jan 2022, 07:36 PM

একই দিন ভোরে রাজশাহী থেকে ঢাকায় আসার পথে ডাকাতের কবলে পড়ে আরেকটি বাস ‘জাহাঙ্গীর পরিবহন’। বাসটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়ার পর এখন টাঙ্গাইলের গোড়াই হাইওয়ে থানায় রয়েছে। সেই ঘটনায়ও কোনো মামলা হয়নি।

তার আগে গত ১৪ জানুয়ারি রাতে ঢাকার সাভার এলাকায় যাত্রীবেশী ডাকাতদের কবলে পড়ে বগুড়া ছেড়ে আসা সোনারতরী পরিবহনের একটি বাস।

ডাকাতেরা সাভার থেকে বাস ঘুরিয়ে আবার টাঙ্গাইলের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। যাত্রীদের সবকিছু লুটে নিয়ে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ এলাকায় বাস থেকে নেমে যায় ডাকাতরা।

সোনারতরী পরিবহনের ওই বাসের সুপারভাইজার শহীদুল ইসলাম তিন দিন ঘুরেও টাঙ্গাইলে কোনো থানায় মামলা করতে পারেননি।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “টাঙ্গাইলের পুলিশ মামলা নেয়নি। তারা সাভারে যেতে বলে। তিন দিন ঘুরে পরে সাভার থানায় মামলা করি।”

মহাসড়কে বাস ডাকাতির কবলে পড়লেও মহাসড়ক থানাগুলোতে মামলা নেওয়া হয় না। মামলা করতে হয় স্থানীয় থানায়।

কিন্তু ঘটনাস্থল সুনির্দিষ্ট করা নিয়ে থানাগুলো মামলা নিয়ে ঠেলাঠেলি করে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এক থানা অন্য থানাকে দেখিয়ে দেয়। আর এক্ষেত্রে বিশাল দূরত্বে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়।

যেমন চিকিৎসক শফিকুল ঢাকার পূর্ব দক্ষিণ প্রান্তের যাত্রাবাড়ি থানায় গেলে তাকে বলা হয় উত্তর প্রান্তের উত্তরা পশ্চিম থানায় যেতে। পুলিশের যুক্তি, কারণ ওই স্থান থেকে তিনি বাসটিতে উঠেছিলেন।

চিকিৎসক শফিকুল থানায় মামলা করতে এসেছিলেন জানিয়ে যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়ামীন কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তিনি এসেছিলেন। তাকে ঘটনাস্থলের থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।”

মামলার হয়রানি নিয়ে চিকিৎসক শফিকুল সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ জানায়, ডাকাতির ঘটনাস্থলটি যেহেতু তাদের থানায় নয়, তাই তারা মামলা নিতে পারছে না।”

উত্তরা পশ্চিম থানায় যেতে বলা হলেও আহত দেহ আর ভগ্ন মন নিয়ে সেখানে যাওয়ার আর আগ্রহ পাননি শফিকুল। তবে সোমবার তার সঙ্গে উত্তরা পশ্চিম থানা থেকে যোগযোগ করেছিল বলে জানান।

ঘটনাটি সোশাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচিত হওয়ার পর উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি শাহ মো. আখতারুজ্জামান ইলিয়াস বলেন, গণমাধ্যমে ঘটনাটি শুনে একজন সাংবাদিকের কাছ থেকে ফোন নম্বর নিয়ে তিনি নিজেই ওই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছেন।

“এখন তিনি যদি মামলা করতে চান, তবে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

শফিকুলের ভাষ্য অনুযায়ী, আব্দুল্লাহপুর থেকে বাসে ওঠার পর যাত্রীবেশী সংঘবদ্ধ ডাকাতরা তাকে আটকে রেখে সাত-আট ঘণ্টা পর যাত্রাবাড়ির কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় ফেলে রেখে গিয়েছিল।

মামলার করতে গিয়ে ভোগান্তির যে অভিযোগ এসেছে, তার সত্যতা মেলে গোড়াই হাইওয়ে থানায় থাকা জাহাঙ্গীর পরিবহনের বাসটিতে ডাকাতির ঘটনার অনুসন্ধান চালিয়েও।

গোড়াই হাইওয়ে থানা পুলিশ বাসটি জব্দ করলেও কোনো মামলা হয়নি।

মামলার বিষয়ে প্রশ্ন করলে এই হাইওয়ে থানার ওসি আজিজুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাইওয়ে থানায় মামলা হয় না। মামলা হলে সেটা হবে স্থানীয় থানায় অর্থাৎ সেখান থেকে ঘটনার শুরু।”

ওই বাসের বিষয়ে কোনো যাত্রী বা বাস মালিক কেউই কোনো যোগাযোগ করেনি বলে জানান তিনি।

শুক্রবার রাতে ওই বাসে ডাকাতির শিকার এক দম্পতি উঠেছিলেন কালিহাতী থানা এলাকা থেকে, যাদের কথা ইতোমধ্যে সোশাল মিডিয়ায় এসেছে।

কালিহাতী থানার ওসি মোল্লা আজিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার থানায় এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেননি।

আর ডাকাতি কালিহাতি থানা এলাকায় সংঘটিত না হওয়ায় তার থানায় কারও আসার কথা নয় বলে মনে করেন তিনি।

গোড়াই এলাকাটি যে থানার মধ্যে রয়েছে, সেই মির্জাপুর থানার ওসি আলম চাঁদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার থানায়ও কোনো মামলা হয়নি।

কেন হয়নি- প্রশ্ন করলে তিনি উল্টো বলেন, “ধরেন সিরাজগঞ্জ থেকে ডাকাতরা উঠেছে। তাহলে মামলা কেন এখানে হবে?”

ওই দম্পতি সরকারের একজন অতিরিক্ত সচিবের আত্মীয়। ওই অতিরিক্ত সচিব নিজের ফেইসবুক পাতায় লিখেছেন, ২৪ জানুয়ারি পার হতে যাচ্ছে কিন্তু মির্জাপুর থানা কোনো জিডি বা মামলা নেয়নি। বিষয়টি দুঃখজনক।

এ তো গেল যাত্রীদের মামলার করার ক্ষেত্রে হয়রানির কথা; বাস মালিক বা চালকরাও আগ্রহী হন না আরেক কারণে।

পরিবহনকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মামলা হলে পুলিশ আলামত হিসেবে বাস জব্দ করে, সেই কারণে বাস মালিকরা মামলায় আগ্রহী হন না। আর মালিকদের চাওয়ার বিপরীতে গিয়ে মামলা করতে চান না বাস চালক কিংবা অন্য কর্মীরাও।

চিকিৎসক শফিকুলের ঘটনাটি ফেইসবুকে আসার পর সোমবার দিনভর আলোচিত হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।

সোমবার রাতে ফোন করা হলে ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার ফারুক হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠান নিয়ে তিনি ‘ব্যস্ত আছেন’।

মামলা না হলে লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের পাশাপাশি অপরাধের বিচারের সুযোগ কমে আসে।

তাই এসব ঘটনায় থানার দায় এড়ানোর প্রবণতায় উষ্মা প্রকাশ করে অধিকারকর্মী নূর খান লিটন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “থানাগুলোর কাজ দেখে মনে হয় তাদের ওখানে যদি বেশি মামলা হয়, তাহলে সেটা এক ধরনের ‘ডিসক্রেডিট’ বা হয়ত তাদের সিনিয়র অফিসারদের কাছে জবাবদিহি করতে হয়।

“এ কারণে থানাগুলো এমন চাঞ্চল্যকর অপরাধের ঘটনাও পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এর ফলে কিন্তু অপরাধীরা পার পেয়ে যায়। এই পাশ কাটানোর চেষ্টা অপরাধীদের অপরাধে সাহায্য করা বলে আমি মনে করি।”

গোড়াইয়ে বাসটিতে ডাকাতি হল যেভাবে

ফেইসবুকে ট্রাফিক এলার্ট গ্রুপে আহমেদ ইমন নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ঢাকায় চাকরির পরীক্ষা দিতে যাওয়ার জন্য গত শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তার বোন ও ভগ্নিপতি টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে জাহাঙ্গীর পরিবহনের একটি বাসে উঠে ডাকাতির কবলে পড়েন।

ইমন ভুক্তভোগীদের নাম প্রকাশ করতে চাননি।

ফেইসবুক পোস্টে ইমন লিখেছেন, বাসটি রাজশাহী থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল। ফজরের নামাজের সময় ৫-৬ জন লোক হঠাৎ ঘিরে যাত্রীদের গলায়, ঘাড়ে, পেটে ছুরি  ধরে। কোনো কথা বলার আগেই হাত পেছনে নিয়ে বেঁধে ফেলে। তারপর চোখ ও মুখ বাঁধে। মানিব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে নেয়। নারীদের ব্যাগ নিয়ে নেয়। বিকাশ একাউন্টের পাসওয়ার্ডের জন্য যাত্রীদের মারধর করে। নারী যাত্রীদের কানে-গলায় গহনা আছে কিনা তা খুঁজে দেখে।

কিছুক্ষণ পর বাসের হেলপার হাত বাঁধা অবস্থায় এসে হাতের বাঁধন পেছন থেকে খুলে দেয় বলে জানান ইমন। তারপর যাত্রীরা নেমে দেখেন, বাসটি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোড়াই মিলগেট এলাকায় দাঁড়ানো। ততক্ষণে ডাকাতেরা নেমে গেছে।

গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসি বলেন, খবর পেয়ে জাহাঙ্গীর পরিবহনের বাসটিকে পরিত্যক্ত অবস্থায় জব্দ করেন তারা।

শফিকুলের বর্ণনায় বাস ডাকাতি

টাঙ্গাইলের সরকারি আড়াইশ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শফিকুল ফেইসবুকে লিখেছেন, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি ও তার এক বন্ধু ঢাকার আব্দুল্লাহপুর থেকে টাঙ্গাইলে যেতে ঢাকা-রাজশাহী-চাঁপাইয়ের ‘আরকেআর’ পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। মিনিট দশেক পরই কামারপাড়া পার হলে নির্জন স্থানে এসে ৭/৮ জন তাদের ঘিরে ফেলে এবং বলে বাসে অন্য সবাই ডাকাত। তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্রের ২/১ জনের হাতে পিস্তলও ছিল।

“তাদের মধ্যে ২ জন আমাকে গলায় ও পেটে ছুরি ধরে আর ২ জন আমার বন্ধুকে ধরে নিয়ে পিছনের সিটে বসায়। এর পর ভয় দেখিয়ে আমাদের কাছে থাকা টাকা পয়সা এবং ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে থাকে। আমাদের চোখ বেঁধে ফেলে, পিছমোড়া করে হাত বাঁধে। এরপর বুঝতে পারি, পুরা বাসের আরও অনেক যাত্রীকে তারা এভাবে জিম্মি করে রেখেছে। এরপরও তারা আরও যাত্রীকে উঠায় এবং একইভাবে ডাকাতি করে।”

শফিকুল লিখেছেন, “এর মধ্যে তারা বিভিন্নভাবে খুঁজে আমার কাছে নগদ অর্থ, ৩টি মোবাইল, ২ টি ডেবিট কার্ডসহ সাথে থাকা ব্যাগ ও অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। পাশাপাশি চলতে থাকে নির্যাতন। আমার কাছে বিকাশ ও কার্ডের পিন নাম্বার জানতে চায় এবং আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে সব ঠিকঠাক বলে দিই আর বলতে থাকি আপনারা আমার সবকিছু নিয়ে নেন, কিন্তু আমার কোনো ক্ষতি কইরেন না। এরপর সারারাত ধরে আমার সাথে চলতে থাকে অমানুষিক নির্যাতন যা বলে বোঝাতে পারব না। এদিকে তারা আমার বন্ধুসহ আরও ৪-৫ জন যাত্রীকে কবিরপুর, আশুলিয়া হাইওয়েতে চোখ, হাত বাঁধা অবস্থায় রাস্তার নিচে একটা খাদে ফেলে চলে যায়, তখন রাত প্রায় ৪টা।

“এরপর আমাকে নিয়ে ঢাকা সিটির ভিতরে ঢুকে বিভিন্ন বুথ থেকে টাকা তুলে নেয় আর কথায় কথায় আমাকে মারধর করে। এর মধ্যে আমার একটু অ্যাজমার সমস্যা থাকায় আমি আমার পকেটে থাকা ইনহেলার টানতে চাইলে তারা আমাকে সেটি দেয় নাই আর গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাওয়ায় পানি চাইলে তাও দেয় নাই। আনুমানিক সকাল ৮:৩০ পর্যন্ত আমার সাথে চলতে থাকে এই বীভৎসতা।”

“এই মর্মান্তিক নির্যাতনের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয় যা প্রায় ৮-১০ ঘণ্টা যাবৎ আমার সাথে ঘটেছে। এরপর আনুমানিক সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কে আমাকে মৃতপ্রায় অবস্থায় উদ্ধার করে বাসের আসল কন্ডাকটর, সেই এসে আমার চোখের পট্টি আর হাতপায়ের বাঁধন খুলে দেয়। কন্ডাক্টরের বর্ণনায় জানতে পারি, গাড়ি স্টার্টে রেখেই সাইনবোর্ড এলাকায় ডাকাতদল প্রায় ঘণ্টাখানেক আগে বাস থেকে নেমে যায়। আর সেসহ (কন্ডাক্টর) বাসের ড্রাইভার ও হেলপারও অবরুদ্ধ ছিল ডাকাতির সেই শুরু থেকেই।”

উদ্ধার পাওয়ার পর চিকিৎসক শফিকুল কাছের মাতুয়াইল হাসপাতালে যান এবং সেখানে পরিচিতজনদের খুঁজে বের করেন।

“সেবা শুশ্রূষায় আমি কিছুটা সুস্থবোধ করলে সিদ্ধান্ত নেই টাঙ্গাইল চলে যাব। এর আগে অবশ্য আইনের সহায়তা নেওয়ার জন্য জিডি করতে থানায় গিয়েছিলাম, পরে তাদের ঠেলাঠেলিতে আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করি। কারণ তারা সহযোগিতার চেয়ে এক থানার কর্মকর্তা অন্য থানার উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।”

শফিকুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাকে প্রচুর চড়-থাপ্পড় মেরেছে ডাকাতরা। অস্ত্র দিয়ে পেটে গুতোও দিয়েছে।

ঢাকা মহানগরের ভেতরে বিভিন্ন বুথ থেকে ডাকাতরা টাকা তুলে নিয়েছে বলে যে বিবরণ তিনি দিয়েছেন, সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তারা আগেই কার্ডের পিন নম্বর নিয়ে নিয়েছিল। এরপর তারা কোন কোন এলাকার বুথ থেকে টাকা তুলেছে, তা মনে করতে পারছি না।”

শফিকুল যে বাসে উঠেছিলেন সেটির নাম বলেছেন ‘আরকেআর’ পরিবহন, ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে চলাচল করে। তবে ঢাকার গাবতলী, মহাখালী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঢাকামুখী বাসগুলোর কাউন্টারে খোঁজ নিয়ে এই পরিবহনের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

হানিফ পরিবহনের চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটের কাউন্টারের ব্যবস্থাপক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আরকেআর নামে কোনো বাস এই পথে চলে বলে তিনি জানেন না।