সংগঠনের পক্ষে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অধ্যাপক ফরিদের পদত্যাগের যে দাবি তোলা হয়েছে, তা দেশের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের চক্রান্ত মনে করছে তারা।
হল প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের লাঠিপেটার পর উপাচার্য ফরিদের পদত্যাগের দাবি তুলে পাঁচ দিন ধরে অনশন চলছে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এই অবস্থায় দেশের প্রায় অর্ধশত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি এক ‘জরুরি সভা’ করে। সে সভার দুই দিন পর গণমাধ্যমে বিবৃতি আসে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে পাঁচটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেন বলে জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “নীতি বহির্ভূতভাবে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে এখন যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করে তোলার মাধ্যমে দেশের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলার একটি চক্রান্তের অংশ বলেই প্রতিভাত হচ্ছে।”
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের ‘অনভিপ্রেত’ ঘটনায় আহতদের প্রতিও সহমর্মিতা জানানো হয় বিবৃতিতে।
একইসঙ্গে বলা হয়, “বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী হলে একজন নতুন প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হলেও উপাচার্যসহ তার পরিবারের সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখার মাধ্যমে যে জটিল পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়।”
আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃষ্ট সমস্যার সমাধানের উপর জোর দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ।