রোববার সংসদে উঠছে ইসি নিয়োগের আইন

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে বহুল আলোচিত খসড়া আইনটি সংসদে চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেই উঠছে।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Jan 2022, 07:06 AM
Updated : 22 Jan 2022, 07:06 AM

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ রোববার সংসদে তুলে সেটি পরীক্ষার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করবেন।

সংসদের রোববারের দিনের কর্সসূচি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। শনিবার এই সূচিটি প্রকাশ করেছে সংসদ সচিবালয়।

সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য বিলটি আনা হচ্ছে।

সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সংসদীয় কমিটির রিপোর্টের জন্য খুব বেশি সময় দেওয়া হবে না। দ্রুত বিলটি পাস করা হবে। এটি পাস হওয়ার পরেই নতুন নির্বাচন কমিশন আইনের আলোকে নিয়োগ করা হবে।

গত সোমবার প্রস্তাবিত আইনটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।

কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই নতুন কমিশন গঠন করতে হবে রাষ্ট্রপতিকে।

সেক্ষেত্রে আইনটি সংসদে তোলা থেকে পাস করে গেজেট প্রকাশের জন্য হাতে সময় রয়েছে চার সপ্তাহ। 

বাংলাদেশের সংবিধানে বলা আছে, সাংবিধানিক সংস্থা ইসিতে কমিশনার নিয়োগের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির। আর তা একটি আইনের অধীনে হবে।

কিন্তু সেই আইন না হওয়ায় প্রতিবারই ইসি গঠনের সময় শুরু হয় বিতর্ক। তা এড়াতে ২০১২ সালে নিয়োগের সময় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান সার্চ কমিটি নামে একটি মধ্যস্থ ফোরাম তৈরি করেন।

এই পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে একজন বিচারপতির নেতৃত্বে বিশিষ্ট কয়েকজন নাগরিকদের নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করেন। ওই সার্চ কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার হতে যোগ্যদের নামের একটি তালিকা তৈরি করেন। সেই তালিকা থেকে একজন সিইসিসহ অনধিক পাঁচজন কমিশনার নিয়োগ দেন।

মো. আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতির পদে আসার পর ২০১৭ সালে জিল্লুর রহমানের সেই পদ্ধতিই অনুসরণ করেছিলেন। এবারও একই পদ্ধতিতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।

কিন্তু সংলাপে অংশ নেওয়া ২৫টি দলের প্রায় সবই ইসি গঠন নিয়ে সমস্যার স্থায়ী সমাধানে আইন প্রণয়নের উপরই জোর দেয়। আলোচনায় রাষ্ট্রপতিও এবিষয়ে সম্মত হন বলে দলগুলোর নেতারা জানান। বিএনপিসহ সাতটি দল অবশ্য সংলাপে অংশ নেয়নি।

যদিও সরকারের পক্ষ থেকে আগে বলা হয়েছিল এবার আইনটি করা সম্ভব হবে না।

সেই সার্চ কমিটিই এবার আইনের মধ্যে রাখা হচ্ছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব গত সোমবার সাংবাদিকদের জানান।

এদিকে সংলাপ শেষ হলেও বঙ্গভবনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইসি নিয়োগে আগের মতো সার্চ কমিটি গঠনের কাজ এখনও শুরু হয়নি।