যে বাস থেকে ফেলে দেওয়ার পর ইরফানের মৃত্যু ঘটে, গ্রীন বাংলা পরিবহনের সেই বাসের চালক ও হেলপারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানিয়েছে, ৫ টাকা ভাড়া কম দেওয়ায় এই বচসার শুরু।
পুরান ঢাকার নবাবপুরের একটি বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের দোকানের কর্মচারী ইফরান থাকতেন ডেমরার সারুলিয়া বড় ভাঙ্গা এলাকায়।
কর্মস্থলে যেতে বৃহস্পতিবার সকালে গ্রীন বাংলা পরিবহনে উঠেছিলেন তিনি, নামতেন গুলিস্তানে। তার কিছু আগেই জয়কালী মন্দির এলাকায় বাস থেকে তাকে ফেলে দেওয়া হয়।
স্থানীয় দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি ৪৮ বছর বয়সী এই ব্যক্তিকে।
ওই বাসের চালক সাগর (২২) এবং কিশোর হেলপারকে পুলিশ থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে জানান ওয়ারী থানার ওসি কবীর হোসেন হাওলাদার। তবে কনডাক্টর মোজাম্মেলকে ধরা যায়নি।
পুলিশ কর্মকর্তা কবীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তাদের (ড্রাইভার-হেলপার) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গুলিস্তানের ভাড়া কন্ডাক্টর মোজাম্মেল ২০ টাকা চাইলে সে (ইরফান) ১৫ টাকা দেয়। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি থেকে হাতাহাতি হয়।
“এরই মধ্যে কন্ডাক্টর অন্য যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া তুলতে থাকে। এক পর্যায়ে বাসটি জয়কালী মন্দিরের কাছে আসলে মোজাম্মেল আবার ইফরানের কাছে বাকি ৫ টাকা চায়। তা না দেওয়ায় এক পর্যায়ে তাকে কিল-ঘুষি মেরে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।”
বাসটি পুলিশ আটক করেছে। চালক ও হেলপারকে থানায় এনে সাক্ষী হিসাবে তথ্য নেওয়া হচ্ছে বলে ওসি জানান।
মোজাম্মেলের বিষয়ে তিনি বলেন, “মূল আসামি মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাদিক টিম কাজ করছে।”
অটোরিকশার ধাক্কায় সহকারী সচিব আহত
সচিবালয়ের সামনে সিএনজি অটোরিকশার ধাক্কায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব খন্দকার আজহারুল আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে সচিবালয়ের সামনে তিনি আহত হওয়ার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় শাহবাগ থানা পুলিশ।
শাহবাগ থানার এসআই টিপু সুলতান বলেন, “মন্ত্রণালয় কাজ শেষে তিনি মোটরসাইকেল চালিয়ে বের হচ্ছিলেন। সে সময়ে একটি সিএনজি অটোরিকশা বেপরোয়াভাবে জিরো পয়েন্টের দিকে যাওয়ার সময়ে সচিবালয়ের গেইটের সামনে গেলে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।”
আজহারুলের ডান পায়ের গোড়ালি ভেঙে গেছে।
তার বাসা মিরপুরের আগারগাঁও তালতলায়।
অটোরিকশাটিকে জব্দ এবং এর চালককে আটক করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা টিপু।