তার আত্মীয় ওমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকার শ্যামলীর বাসায় তার মৃত্যু হয়। তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
এক ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন রেজাউল করীম।
পরিবারের সদস্যরা জানার, শ্যামলীতে জানাজার পরে মাগরিবের পর আজিমপুর কবরাস্থানে ভাষা সৈনিক রেজাউল করীমকে সমাহিত করা হয়।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন রেজাউল করীম। একুশে ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা ছাত্রসভায় অংশ নিয়ে তিনি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেন। সেখানে পুলিশের কাঁদুনে গ্যাস ও লাঠিপেটায় রেজাউল করীম আহত হন।
১৯৩৭ সালে ৪ এপ্রিল বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি থানার নারচি গ্রামে রেজাউল করিমের জন্ম। ১৯৬৩ সালে বহুজাতিক কোম্পানি লিভার ব্রাদার্সে তার কর্মজীবন শুরু হয়। কিছুদিন ইস্পাহানী লিমিটেডেও তিনি চাকরি করেছেন।
তিনি পাকিস্তান কেমিকেলসে কর্মরত থাকা অবস্থায় স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে ঘোড়াশাল ও আশুগঞ্জ কারখানার ব্যবস্থাপক হিসেবে চাকরি করেন। ফেন্সুগঞ্জ কারখানার মহাব্যবস্থাপকের পদ থেকে ১৯৯৭ সালে তিনি অবসরে যান।
অবসরের পরও তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। শেরেবাংলা পদকসহ বিভিন্ন পদক পেয়েছেন রেজাউল করীম।
রেজাউল করীমের মৃত্যুতে এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমেদ শোক প্রকাশ করে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।