ঢাকায় জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিন বৃহস্পতিবার বিকালের অধিবেশনে ডিসিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশনের একটি কাজ হল সচেতনতা বৃদ্ধি। দুর্নীতি যেন না হয়, দুর্নীতি থেকে যেন মানুষ দুরে থাকে, সেটা দেখাও দুদকের কাজ।
“এজন্য আমরা ডিসিদের অনুরোধ জানিয়েছি, তারা যেন আমাদের সব সময় সাহায্য করেন।… কোন অফিসে কোথায় কোথায় দুর্নীতির সুযোগ আছে এটা কিন্তু জেলা প্রশাসকরা জানেন। ওই জায়গায় তারা যেন সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করেন।"
মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ বলেন, দুদকের আরেকটি কাজ হল গণশুনানি। প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে দুর্নীতির ধরনও বদলায়। কোথাও গণশুনানি করা হলে দুর্নীতির নতুন ধরনগুলোও জানা যায়। অবশ্য মহামারীর কারণে এখন তা সীমিত আছে।
“ডিসিদের বলেছি তারাও যেন গণশুনানি করেন। আমরাও করব। কোথায় নতুন রূপে দুর্নীতি হচ্ছে এবং কীভাবে তা বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে তারা যেন সহযোগিতা করেন।”
দুর্নীতির তদন্তের সময় কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “আমাদের একটি সমস্যা হল তদন্ত বা অনুসন্ধানে একটু সময় লেগে যায়। এটার কারণে হয়ত অনেক অভিযোগ থাকলেও সমাধানে সমস্যা হয়। এটা আমাদের একটি সীমাবদ্ধতা।
“এটা আমরা অ্যাড্রেস করার চেষ্টা করছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেন আমাদের তদন্তগুলো শেষ হয়, আমরা চেষ্টা করছি।”
মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ বলেন, “দুর্নীতি এমন একটি জিনিস, প্রমাণ পাওয়াটা খুব কঠিন। অকাট্য প্রমাণ ছাড়া তো আমরা এগোতে পারি না। কারণ এটা না হলে আদালত মামলা গ্রহণ করবে না।
“যিনি ঘুষ নেন ও যিনি দেন তারা কেউ তো স্বীকার করে না। এটি কমিয়ে আনতে আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের যারা অনুসন্ধান করে, তাদেরকেও আমরা জবাবদিহির আওতায় আনার চেষ্টা করছি।"
দুদকের আইনজীবীরা মামলার শুনানিতে উপস্থিত থাকেন না- এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "জেলার যারা বিজ্ঞ আইনজীবী আছেন, তাদেরকেই আমরা নিয়োগ করার চেষ্টা করি। দুদক আইনে যা আছে, আমাদের একটি প্যানেল থাকে। এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি বা এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরের বেতনে তো কোনো আইনজীবী আসতে রাজি হবেন না।
"তারা যদি স্বাধীনভাবে আইন পেশায় থাকেন, তাদের আয় অনেক বেশি থাকে। আমার এখানে যদি নিয়ে আসি, পঞ্চম গ্রেডে বেতন যদি দিই, সে টাকায় ভালো আইনজীবী আসবে না।”
যারা প্রতিষ্ঠিত, তাদেরই দুদক নিয়োগের চেষ্টা করে জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, “মামলার সময় উপস্থিত থাকে না- এমন ঘটনা অনেক কম।"