বৃহস্পতিবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের শেষ দিনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অধিবেশনে ডিসিরা এ সুপারিশ করেন বলে জানান তিনি।
অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “জুয়া আইনের শাস্তি বাড়ানো যায় কি না, জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে সেই পরামর্শটি এসেছে। এই আইনটি ব্রিটিশ আমলের আইন।
“এই আইনটি কোথা থেকে কিভাবে হয়েছিল সেটা আমরা এখন খুঁজে বের করেছি। এই আইনটিকে এখন যুগপোযোগী করা যায় কি না আমরা এখন সেই ব্যবস্থা করছি।”
দেশে পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট, ১৮৬৭ নামে যে আইনটি রয়েছে তা রাজধানীতে প্রয়োগের সুযোগ নেই। এর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকা ছাড়া সমগ্র বাংলাদেশে ইহা প্রযোজ্য হইবে’।
২০১৯ সালে রাজধানীতে ‘ক্যাসিনো বিরাধী’ অভিযানে বিভিন্ন জুয়ার আসরে শতাধিক ব্যক্তি আটক হলে আইনি সীমাবদ্ধতার বিষয়টি আলোচনায় আসে। সেসময় ‘সারা দেশে’ জুয়া নিষিদ্ধ বলে রায় দেয় হাই কোর্ট।
পর্যবেক্ষণে আদালত জানায়, জুয়া আইনে ঢাকা মহানগরীর বাইরে জুয়া খেলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এই আইনে সাজার পরিমাণ খুবই নগন্য, মাত্র ২০০ টাকা জরিমানা ও তিন মাসের কারাদণ্ড।
জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের সময়টায় মাঠ প্রশাসনে স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য কী পরামর্শ ছিল সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়।
জবাবে তিনি বলেন, “দেশের স্থিতিশিলতা রক্ষায় ডিসি-এসপি যারা প্রশাসনের কাজে নিয়োজিত আছে তারা মিলে মিশে এক সাথে কাজ করবে। এটাই ছিল আমাদের আজকের পরামর্শ।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, র্যাব, পুলিশ, বিজিবিসহ অন্যান্য বাহিনীর প্রধান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ও সুরক্ষাসেবা বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগগুলো এই বৈঠকে অংশ নিয়েছে।
“বৈঠকে আমরা বলেছি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি পুলিশকে যেখানে দেখতে চেয়েছিলেন আমরা তার কাছাকাছি চলে এসেছি। আমরা সেই কথা তাদের বলেছি। আমরা বিশ্ব মানের পুলিশ তৈরির জন্য এগিয়ে চলছি।
“যেই গতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ চালাচ্ছেন সেটাকে ধরে রাখতে হলে টেকসই নিরাপত্তা দরকার। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী যেন গড়ে উঠে আমরা সেটা চেয়েছি।”
আরও পড়ুন