কাজে যেতে না চাওয়ায় সহযোগীকে ‘হত্যা’, যুবক গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জে ‘একসঙ্গে কাজে যেতে না চাওয়ায়’ সহযোগীকে কিল-ঘুষি মেরে ‘হত্যার’ অভিযোগে মনির হোসেন (৩০) নামের এক রঙ মিস্ত্রিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Jan 2022, 01:56 PM
Updated : 19 Jan 2022, 01:56 PM

মঙ্গলবার শরীয়তপুরের গোসাইরহাট এলাকা থেকে সিআইডির একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।

সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খাইরুল আমিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

বুধবার দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ৫ জানুয়ারি আড়াইহাজারের ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী ষাড়পাড়া গ্রামে মনিরের কিল-ঘুষিতে আহত হওয়ার পর মারা যান আবদুল করিম (৫৮) নামে একজন রঙ মিস্ত্রি।

তিনি বলেন, “ঘটনার দিন সকাল ৭টায় করিমের বাড়িতে গিয়ে তার সহযোগী রঙ মিস্ত্রি মনির নতুন একটি কাজে যাওয়ার জন্য বলেন। এতে রাজি না হলে করিমকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দ্রুত পালিয়ে যান মনির।

“করিমের চিৎকার শুনে তার পরিবারের লোকজন এসে উদ্ধার করে জোবেদ আলী মেডিকেল নামের স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দিলে টাকা সংগ্রহের জন্য করিমকে বাড়িতে নিয়ে যান স্বজনরা। এর কিছুক্ষণ পরই তার মৃত্যু হয়।”

এ ঘটনায় করিমের স্ত্রী নারগিস (৪৮) ৭ জানুয়ারি মনিরের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় হত্যা মামলা করেন।

পুলিশ সুপার খাইরুল আমিন বলেন, “করিম প্রায় আট বছর ধরে ঢাকা, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় থেকে রঙ মিস্ত্রির কাজ করে আসছিলেন। তার সঙ্গে কাজের সুবাদে চার বছর আগে পরিচয় হয় গ্রেপ্তার মনিরের। করিমের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন মনির।

“ঘটনার দিন করিমের জন্য ৪০০ টাকা এবং সহকারী হিসেবে মনির তার নিজের জন্য দিনে ৫০০ টাকা হাজিরায় নতুন একটি কাজ ঠিক করেন। করিম হেডমিস্ত্রি এবং তার যন্ত্রপাতি দিয়েই মূলত ঠিকাদারির কাজ করা হয়। তবুও তার মজুরি কম হওয়ায় মনিরের সঙ্গে কাজে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন করিম।”

পুলিশ সুপার বলেন, “এ কারণে উত্তেজিত হয়ে করিমকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারেন মনির। এ আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়।”