পুলিশ বলছে, দুর্ঘটনার পর ওই আসামি বেরিয়ে পালিয়েছেন।
জব্দ করা ওই প্রাইভেটকারটি আসামিই চালাচ্ছিলেন বলে খবর ছড়ালেও তা নাকচ করেছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম।
তার ভাষ্য অনুযায়ী, সোমবার দুর্ঘটনার সময় গাড়িটি চালাচ্ছিলেন এসআই শরীফুল ইসলাম।
টয়োটা প্রিমিও গাড়িটি পুকুরে পড়ার পর তাতে থাকা এসআই শরীফুল এবং এসআই কাজী সালেহ আহমেদ মারা যান।
আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এএসআই রফিকুল ইসলামকে। তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ওই গাড়িতে এই তিন পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে ছিলেন গাড়িটির চালক আলমগীর হোসেন, যাকে ইয়াবাসহ ধরার পর তাকে নিয়েই থানায় ফিরছিলেন তারা। আলমগীর এখনও নিখোঁজ।
এসপি জায়েদুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গাড়িটি চালাচ্ছিলেন এসআই শরীফুল। পেছনে আসামি আলমগীর হোসেনকে মাঝখানে বসিয়ে একপাশে বসেছিলেন এসআই সালেহ ও আরেকবাসে বসেন এএসআই রফিকুল।
“গাড়িটি পানিয়ে পড়ে যাওয়ার পর জনতা যখন আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করে, তখন সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় আসামি আলমগীর হোসেন। তাকে ধরতে অভিযান চলছে।”
আহত এএসআই রফিকুল এখন অনেকটা সুস্থ বলে জানান এসপি জায়েদুল।
সোমবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানা পুলিশের এই দুই এসআই এবং এক এএসআই ৪২ হাজার ইয়াবাসহ জব্দ করেন আলমগীরের গাড়িটি।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ইয়াবার খবরে সোমবার দুপুরে মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায় চৌকি বসানো হয়। নীল রঙের টয়োটা প্রিমিও (ঝালকাঠি গ-১১-০০০৪) গাড়িটিকে থামানোর সঙ্কেত দিলেও সেটি না থেমে চলে যায়। পরে ধাওয়া করে পুলিশের আরেকটি দল মোগড়াপাড়া এলাকায় সেটিকে আটকায়।
তখন গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৪২ হাজার ইয়াবা পাওয়া গেলে গ্রেপ্তার করা হয় চালক আলমগীরকে। এরপর গাড়িটি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ এসপি অফিসে যায় পুলিশের দলটি।
সেখান থেকে সোনারগাঁ থানায় ফেরার পথে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে গাড়িটি পুকুরে পড়ে যায়।