প্রতারণার এক মামলায় অভিযুক্ত রিজেন্টের সাহেদ

উত্তরা পশ্চিম থানায় একজন বালু ব্যবসায়ীর দায়ের করা প্রতারণার মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ও তার দুই সহযোগীর বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Jan 2022, 10:53 AM
Updated : 18 Jan 2022, 12:10 PM

ঢাকার মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী মঙ্গলবার তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করে দেন।

অভিযুক্ত অপর দুজন হলেন শিপন আলী ও মাসুদ পারভেজ। দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় প্রতারণা, বিশ্বাস ভঙ্গ, অর্থ্ আত্মসাত এবং হুমকির অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ গঠনের শুনানিতে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। তাদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে বিচারক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

শুনানির সময় কাঠগড়ায় দাঁড়ানো সাহেদ ছিলেন নির্বাক, ভাবলেশহীন।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে চিকিৎসার নামে প্রতারণা এবং পরীক্ষার নামে জালিয়াতির অভিযোগে গতবছর জুলাই মাসে রিজেন্ট হাসপাতাল বন্ধ করে দেয় র‌্যাব। ওই হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদের নানা দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসতে থাকে এরপর।

ওই বছর ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিভিন্ন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দায়ের হয় কয়েক ডজন মামলা। তখনই ২০২০ সালের ২৩ জুলাই দক্ষিণখানের কাওলা মধ্যপাড়ার বালু ব্যবসায়ী এস এম শিপন এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সাহেদের কোম্পানি রিজেন্ট কে সি এস এর ব্যবস্থাপক শিপন আলী উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের পশ্চিম পাশে গ্রীন ভ্যালি নামের বালু সরবরাহের শোরুমে গিয়ে ৫০ লাখ সিফটি বালুর কার্যাদেশ দেন, যার দাম উনিশ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সে অনুযায়ী ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬১ লাখ টাকার বালু সরবরাহ করা হয়।

সরবরাহের পর বিল চাইলে শিপন ও পারভেজ নানা বাহানায় বাদীকে ‘ঘোরাতে’ থাকেন। এক পর্যায়ে মোহাম্মদ সাহেদ তাকে ‘ভয়ভীতি দেখিয়ে’ রিজেন্ট কে সি এস এর অফিস থেকে বের করে দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী পালিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান। আর আসামিদের পক্ষে অব্যাহতির আবেদন শুনানি করেন এম দবির উদ্দিন।

সাহেদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩৫টি মামলা হয়েছে বলে আইনজীবী এম দবির উদ্দিন জানান। এর মধ্যে অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ঢাকার একটি মামলায় ২০২০ সালে সাহেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

পুরনো খবর