নতুন আইন করেই গঠন হচ্ছে নতুন ইসি

ইসি নিয়োগে আইন এবার সম্ভবপর হচ্ছে না- রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরুর আগে এমনই বলেছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। কিন্তু সংলাপে আইন করার দাবিটি জোরেশোরে ওঠার পর চিত্র গেছে বদলে।

মঈনুল হক চৌধুরী জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Jan 2022, 06:42 PM
Updated : 17 Jan 2022, 06:42 PM

সোমবার সংলাপ শেষের দিন মন্ত্রিসভায় এই আইনের খসড়া অনুমোদনের পর আইনমন্ত্রী জানালেন, আগামী সপ্তাহেই তা পাসের জন্য সংসদে তোলা হবে এবং তা পাস করে তার অধীনেই আসবে নতুন ইসি।

আর সংসদে উঠলে আইনটি পাসে যে দেরি হবে না, সেই ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই নতুন কমিশন গঠন করতে হবে রাষ্ট্রপতিকে।

সেক্ষেত্রে আইনটি সংসদে তোলা থেকে পাস করে গেজেট প্রকাশের জন্য হাতে সময় রয়েছে চার সপ্তাহ।  

বর্তমানে সংসদের অধিবেশন চলছে, এই অধিবেশন শুরু হয়েছে রোববার। কত দিন এই অধিবেশন চলবে, তা এখনও সুনির্দিষ্ট করা না হলেও ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি অবধি চলতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সরকারি দলের এক হুইপ।

সোমবার দুপুরে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ চলমান ষোড়শ অধিবেশনেই উত্থাপন হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগামী রোববার বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হবে। এ সংসদে আইনটি পাস হবে। এ আইনের অধীনেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হবে।”

সংসদে কোনো বিল উত্থাপন হলে সাধারণত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য। সেজন্য কমিটিকে সময় দেওয়া হয়। সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদন আসার পর সংসদে তা নিয়ে আলোচনা শেষে পাস হয়।

তবে দুই মাস আগে উচ্চ আদালতের বিচারকদের ভাতা বাড়ানোর আইন দুই দিনেই পাস হয়েছিল। গত ২৭ নভেম্বর বিলটি সংসদে তোলার পর ২৮ নভেম্বরই পাস হয়। এটি সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়নি। দ্রুত আইন পাসের এমন নজির আরও রয়েছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় সরকারের পক্ষে কোনো আইন পাস করিয়ে নেওয়া সহজ।

আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ শেষে সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে আইনটি পাসের বিষয়ে বলেন, “কাম অ্যান্ড সি, নাথিং ইজ ইম্পসিবল। যেহেতু এটা জনদাবি, সর্বাত্মক প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।”

বঙ্গভবনে সংলাপে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতারা। নতুন ইসি গঠনে সোমবার রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নেয় আওয়ামী লীগ। ছবি: প্রেস উইং,বঙ্গভবন

বাংলাদেশের সংবিধানে বলা আছে, সাংবিধানিক সংস্থা ইসিতে কমিশনার নিয়োগের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির। আর তা একটি আইনের অধীনে হবে।

কিন্তু সেই আইন না হওয়ায় প্রতিবারই ইসি গঠনের সময় শুরু হয় বিতর্ক। তা এড়াতে ২০১২ সালে নিয়োগের সময় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান সার্চ কমিটি নামে একটি মধ্যস্থ ফোরাম তৈরি করেন।

এই পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে একজন বিচারপতির নেতৃত্বে বিশিষ্ট কয়েকজন নাগরিকদের নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করেন। ওই সার্চ কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনার হতে যোগ্যদের নামের একটি তালিকা তৈরি করেন। সেই তালিকা থেকে একজন সিইসিসহ অনধিক পাঁচজন কমিশনার নিয়োগ দেন।

মো. আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতির পদে আসার পর ২০১৭ সালে জিল্লুর রহমানের সেই পদ্ধতিই অনুসরণ করেছিলেন। এবারও একই পদ্ধতিতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।

কিন্তু সংলাপে অংশ নেওয়া ২৫টি দলের প্রায় সবই ইসি গঠন নিয়ে সমস্যার স্থায়ী সমাধানে আইন প্রণয়নের উপরই জোর দেয়। আলোচনায় রাষ্ট্রপতিও এবিষয়ে সম্মত হন বলে দলগুলোর নেতারা জানান। বিএনপিসহ সাতটি দল অবশ্য সংলাপে অংশ নেয়নি।

সংলাপের শেষ দিন সোমবার আইন পাসের প্রস্তাব নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বঙ্গভবনে যাওয়ার আগেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হয় খসড়া আইন।

এবার সংলাপের আগে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের দাবি উঠলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, সীমিত সময়ে আইনটি পাস করা সম্ভবপর হচ্ছে না বলে এবারও সার্চ কমিটির মাধ্যমেই ইসিতে নিয়োগ হবে।

তিনি আরও বলেছিলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই আইনটি সংসদে যথেষ্ট সময় নিয়ে সবার আলোচনার মাধ্যমেই করতে চান তারা।

তবে সোমবার তিনি বলেন, সব সম্পন্ন করে চলতি অধিবেশনই আইনটি পাস করার বিষয়ে তিনি আশাবাদী।

এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, “হ্যাঁ। নতুন যে নির্বাচন কমিশন হবে, সেটা এ আইনের আওতায় হবে।”

সংলাপে না যাওয়া বিএনপি এই আইনের বিরোধিতাও যে করবে, তা মোটামুটি স্পষ্ট।

এর আগে এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, “আপনারা আইন করবেন পার্লামেন্টে, যেখানে আর কেউ নেই, কথা বলার সুযোগ নেই।

“আপনারা একরতফা আইন পাস করে নিয়ে যাবেন আপনাদের সুবিধার জন্য। সেই আইনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলে সেটাও এদেশের মানুষ মেনে নেবে না।”

২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বঙ্গভবনে শপথ অনুষ্ঠানে (বাঁ থেকে) সিইসি কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। ফাইল ছবি

কী আইন হচ্ছে

মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনের খসড়ায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার কথা সাংবাদিকদের জানান।

তিনি বলেন, “এই আইনটা খুব ছোটো আইন।”

প্রচলিত সার্চ কমিটির আইনি ভিত্তি পাচ্ছে বলে জানান তিনি।

“এখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দানের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট সুপারিশ প্রদানের নিমিত্তে একটা অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হবে, যেটা অন্যান্য আইনে যেভাবে আছে, ঠিক সেইভাবেই। অনুসন্ধান কমিটিও একটা করা হবে এবং সেটাও মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে এবং সেটার দায়িত্ব ও কার্যাবলী... সুইটেবল কেন্ডিডেটের নাম রেকমেন্ড করবে।”

এ আইন সংক্ষিপ্ত হলেও তা বাস্তবায়নের জন্য বিস্তারিত বিধি করে দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

আর আগে দায়িত্ব পালন করে যাওয়া নির্বাচন কমিশনাররা এই আইনের আওতায় আসবেন বলে জানান তিনি।

“যেহেতু এর আগে আইন ছিল না, ইতোপূর্ব যেসব ইলেকশন কমিশন গঠন করা হয়েছে, সেগুলো এ আইনের অধীনেই করা হয়েছে বলে ধরে সেগুলোকে হেফাজত করা হয়েছে।”

সেক্ষেত্রে স্বাধীনতার পর থেকে নিয়োগ পাওয়া ১২ জন সিইসি ও ২৭ জন নির্বাচন কমিশনার এ আইনের অধীনে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন বলে বিবেচিত হবে।

আইনটির বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করা হলে আইনমন্ত্রী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রস্তাবিত এ আইনে যোগ্যতা অযোগ্যতা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। আইন হওয়ার পরে বিধিমালা প্রণয়নের প্রয়োজন হলে তখন দেখা যাবে। তবে আইনেই বিস্তারিত হবে। বিধি লাগবে না, আইনের মধ্যে সব থাকবে।

কয়েকটি জায়গা খসড়া সংক্রান্ত যেসব প্রস্তাব দিয়েছিল-সব কিছু কনসিডার করেছি। যেটা সংবিধান আমাদের পারমিট করে সেটাই রাখা হয়েছে। সার্চ কমিটিসহ সার্বিক বিষয়গুলো আইনে ডিফাইন করা হয়েছে।”

আনিসুল হক জানান, সিইসি ও ইসি নামের সুপারিশ রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়ার জন্য আইনে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি থাকবে।

২০১২ সালে চার সদস্য ও ২০১৭ সালে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি ছিল।

নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নারী সদস্যের কোনো বাধ্যবাধকতা রাখা হচ্ছে না আইনে; এটা উন্মুক্ত থাকছে।

২০০৭ সালে নিয়োগ পাওয়া এ টি এম শামসুল হুদা কমিশন বিদায়ের সময় ২০১২ সালে একটি আইনে খসড়া সরকারকে দিয়ে গিয়েছিল। ১০ বছর পর তা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার।

নতুন আইনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার হওয়ার যোগ্যতা এবং অযোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

৩ যোগ্যতা

>> বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে

>> কমপক্ষে ৫০ বছর বয়স হতে হবে

>> গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-আধাসরকারি, বেসরকারি বা বিচার বিভাগীয় পদে কমপক্ষে ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে

৬ অযোগ্যতা

>> কোনো আদালতের মাধ্যমে অপ্রকৃতস্থ ঘোষিত ব্যক্তি

>> দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার পরে দায়মুক্ত না হওয়া ব্যক্তি

>> বিদ্যমান নিয়মের বাইরে অন্য কোনো রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিলে কিংবা অন্য কোনো রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণাকারী ব্যক্তি

>> নৈতিক স্খলনজনিত কারণে ফৌজদারি আইনে দু্ই বছর কিংবা ততধিক সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি

>> আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে দণ্ডিত ব্যক্তি

>> প্রজাতন্ত্রের লাভজনক কোনো পদে অধিষ্ঠিত থাকা কোনো ব্যক্তি

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, কেউ একবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে মেয়াদ পূর্ণ করলে আবার ওই পদে যেতে পারবেন না। তবে কেউ আগে নির্বাচন কমিশনার পদে থাকলে পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হতে পারবেন।

সার্চ কমিটি যেমন হবে

এবার সংলাপ শুরুর পর রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানিয়েছিলেন, ১৭ জানুয়ারিই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির আলোচনা শেষ হলেই সার্চ কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে।

সার্চ কমিটি কত সদস্যের হবে, কারা থাকবে, তা তিনি না জানালেও বঙ্গভবনের একটি সূত্র জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারককে আহ্বায়ক করে এই কমিটিতে হাই কোর্ট বিভাগের একজন বিচারক, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) থাকতে পারেন। এছাড়া দুজন বিশিষ্ট নাগরিকও থাকবেন এই কমিটিতে, তাদের একজন হবেন নারী।

নতুন আইনেও সার্চ কমিটির পরিধি তেমনই থাকছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারক এই সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান হবেন। প্রধান বিচারপতি মনোনীত হাই কোর্ট বিভাগের একজন বিচারক, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি), পিএসসি চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুজন বিশিষ্ট নাগরিক এই কমিটির সদস্য হবেন।

২০১৭ সালের সার্চ কমিটির সদস্যরা বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠকে। ফাইল ছবি

সার্চ কমিটি যেমন ছিল

২০১২ সালে ৪ সদস্যের: আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন নেতৃত্বাধীন সার্চ কমিটির অন্য তিন সদস্য ছিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান, পিএসসি চেয়ারম্যান এ টি আহমদুল হক চৌধুরী ও মহাহিসাব নিরীক্ষক আহমেদ আতাউল হাকিম।

সেই কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব কাজী রকিবউদ্দীনের নাম প্রস্তাব করেছিল। তাদের মধ্যে নিয়োগ পেযেছিলেন কাজী রকিব।

আর আটটি নামের সুপারিশ থেকে আবু হাফিজ, আবদুল মোবারক, জাবেদ আলী, মো. শাহনেওয়াজ কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।

২০১৭ সালে ৬ সদস্যের: আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস‌্যের এই কমিটির অন্য সদস‌্যরা ছিলেন হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য শিরীণ আখতার।

সিইসি হিসেবে সাবেক সচিব কে এম নূরুল হুদা ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারের নাম প্রস্তাব করেছিল এই কমিটি। তার মধ্য থেকে নিয়োগ পান নূরুল হুদা।

আর আটটি নামের প্রস্তাব থেকে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।