রাজাকারের তালিকা: সংশোধিত আইন এখন সংসদে পাসের অপেক্ষা

রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনীসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা তৈরির বিধান রেখে তৈরি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইনের সংশোধিত খসড়া সরকারের সায় পেয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Jan 2022, 01:37 PM
Updated : 17 Jan 2022, 01:37 PM

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ২০২২ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।

বিদ্যমান আইনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীদের তালিকা প্রকাশের বিষয়ে কিছু উল্লেখ নেই। তাই এই তালিকার বৈধতা দিতে ২০০২ সালের জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন সংশোধন করা হচ্ছে।

মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে সময় রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনীর সদস্য হিসেবে কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন বা আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য হিসেবে সশস্ত্র যুদ্ধে নিয়োজিত থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন, যারা ধর্ষণ, লুট, অগ্নিসংযাগসহ অন্যান্য অপরাধমূলক ঘৃণ্য কার্যক্রম দিয়ে মানুষ হত্যা বা অত্যাচার করেছেন এবং যারা পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন তাদের তালিকা প্রণয়ণ ও গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ করার ক্ষমতা ও দায়িত্ব সংধোশিত আইনে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলকে দেওয়া হয়েছে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সংশোধিত আইনে কাউন্সিলের সদস্য সংখ্যা ১১ জন করা হয়েছে। আগের আইনে ৯ জন ছিল।

তিনি বলেন, “উনাদের কাজ হবে অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে গেজেটভুক্ত ও সনদপ্রাপ্ত অমুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ।”

এই কাউন্সিলের উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক মনোনীত পাঁচজন সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের ফোর্স কমান্ডার, সাব সেক্টর কমান্ডার অথবা কমান্ডারসমূহের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, এই বিষয়ক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি বা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

২০১৯ সালে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন সংশোধনের খসড়া তৈরি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ওই বছর ২৯ ডিসেম্বর আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সুপারিশও নেওয়া হয়। ২০২০ সালের মার্চ মাসে আইনের ভাষা পরিমার্জনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন কোষে পাঠানো হয়।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে দুটি সংশোধনী দিয়ে ওই খসড়ার নীতিগত অনুমোদন করা হয়। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তা গত জুনে মন্ত্রিপরিষদ সভায় পাঠানো হয়।

এটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী এখন জাতীয় সংসদে পাসের জন্য তোলা হবে।