শুরু হচ্ছে ডিসি সম্মেলন, এবার ওসমানী মিলনায়তনে

করোনাভাইরাস মহামারীকালে দুবছর বিরতির পর জেলা প্রশাসক সম্মেলন এবার এমন এক সময়ে হতে যাচ্ছে যখন সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Jan 2022, 12:40 PM
Updated : 17 Jan 2022, 12:43 PM

আর এ কারণে ভেন্যু বদলে এবারের সম্মেলন বসছে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে।

অন্যান্য বছর জেলা প্রশাসকদের নিয়ে অধিবেশনগুলো হয় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে যাওয়া এ সম্মেলন শেষ হবে বৃহস্পতিবার।

সম্মেলনের ঠিক আগে পাঁচ জেলা প্রশাসক ও দুই বিভাগীয় কমিশনারের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টায় ভার্চুয়ালি সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।

সাধারণত প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক সম্মেলন উদ্বোধন করেন। করোনাভাইরাসের কারণে এবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে অধিবেশনে যুক্ত থাকবেন তিনি।

এ বছর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সঙ্গে অধিবেশনগুলোও ভার্চুয়াল হবে।

সরকারের নীতিনির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনা সামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেওয়ার জন্য সাধারণত প্রতি বছর জুলাই মাসে ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এবার এ সম্মেলন শুরু হচ্ছে ১৮ জানুয়ারি, যা ইতোমধ্যে এক দফা পেছানো হয়।

তিন দিনের সম্মেলনের কর্মসূচি অনুযায়ী, এবার সম্মেলনে ২১টি কার্য অধিবেশনসহ মোট ২৫টি অধিবেশন থাকবে। এর মধ্যে প্রথম দিন সাত, দ্বিতীয় দিন আট এবং তৃতীয় দিন ১০টি অধিবেশন থাকবে।
প্রথমদিন দিন সন্ধ্যা ৬টায় ভার্চুয়ালি দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন রাষ্ট্রপতি।

দ্বিতীয় দিন বিকাল সোয়া ৪টায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন। সন্ধ্যা ৬টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন প্রধান বিচারপতি।

১৮ জানুয়ারি উদ্বোধনের পর সকাল  সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত হবে প্রথম অধিবেশন; যাতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, অর্থ বিভাগ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, পরিকল্পনা বিভাগ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মতবিনিময় হবে।

দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হবে দুপুর সাড়ে ১২ টায়। অধিবেশনটি হবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও আওতাধীন সংস্থাগুলোর সঙ্গে।

পরে একে একে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, সমাজকল্যাণ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক, সংস্কৃতি বিষয়ক এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অধিবেশন হবে। আর সবশেষে থাকবে রাষ্ট্রপতির দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য।

১৯ জানুয়ারি দ্বিতীয় দিন প্রথম অধিবেশন শুরু হবে সকাল ৯টায়। অধিবেশনটি হবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে।

পরে একে একে কৃষি, খাদ্য, বস্ত্র ও পাট, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান, শ্রম ও কর্মসংস্থান, শিল্প ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং  স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হবে।

তৃতীয় দিন অর্থাৎ ২০ জানুয়ারি প্রথম অধিবেশন শুরু হবে পৌনে ৯টায়। অধিবেশনটি হবে প্রতিরক্ষা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সঙ্গে।

দ্বিতীয় অধিবেশন হবে পানি সম্পদ, নৌপরিবহন এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে।

পরে তথ্য ও সম্প্রচার এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ভূমি ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, সেতু বিভাগ, রেলপথ এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশনের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে মতবিনিময় হবে।