এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ভবনের তত্ত্বাবধায়ক জলিল (৫৩) এবং তার পরিচিত মান্নান (৩২) নামে দুজনকে গ্রেপ্তর করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) মিরপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শনিবার গভীর রাতে তাদের গাজীপুরের শ্রীপুর এবং রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১৩ জানুয়ারি রাতে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে মিরপুরে সরকারি বাঙলা কলেজের নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনের পঞ্চম তলা থেকে দারুস সালাম থানা পুলিশ ২৩ বছর বয়সের হাত পা বাঁধা এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে।
পরে পকেটে পাওয়া মোবাইল ফোন নম্বরের সূত্র ধরে তার পরিচয় পাওয়া যায়।
নিহত রুবেল শারিরীকভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিল জানিয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তা সাইফুল জানান, ঢাকায় সে কীভাবে এল, তা এখনও রহস্যজনক।
“তবে অসুস্থতার কারণে চিকিৎসক দেখাতে বা পরিবার থেকে দূরে থাকতে ঢাকায়ও আসতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি।”
রোববার দুপুরে এ ঘটনায় গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়ে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, “নির্মাণাধীন ওই ভবনের তত্ত্বাবধায়ক জলিল চোর সন্দেহে রুবেল মিয়াকে আটক করে এবং তার পরিচিত মান্নানের সহযোগিতায় পঞ্চম তলায় নিয়ে হাত পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করে।”
গ্রেপ্তারের পর জলিল পুলিশের কাছে দাবি করেছে, কিছুদিন আগে তার একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়।
“এরপর গত ৯ জানুয়ারি ওই ভবনের সামনে এক যুবককে ঘোরাঘুরি করতে দেখে জলিলের চোর সন্দেহ হলে তাকে ধরে।”
গোয়েন্দা কর্মকর্তা সাইফুল জানান, রুবেল মিয়া গত ২ ডিসেম্বর বিয়ে করেন। ৫ ডিসেম্বর চুল কাটার কথা বলে লালমনিরহাটের বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে সে নিখোঁজ।
“তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তদন্তে তার সর্বশেষ অবস্থান বগুড়ায় পাওয়া যায় এবং সেখানে সে এক ডাক্তার দেখিয়েছে এর প্রমাণও মেলেছে।”