ভোটে হেরেছি ইভিএম আর প্রশাসনের কারণে: তৈমুর
নিজস্ব প্রতিবেদক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 16 Jan 2022 09:05 PM BdST Updated: 16 Jan 2022 09:20 PM BdST
সেলিনা হায়াৎ আইভীকে লক্ষাধিক ভোটে হারানোর আশা করছিলেন বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার; কিন্তু ফল উল্টে যাওয়ায় নিজের হারের দুটো কারণ দেখিয়েছেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া তৈমুর বলছেন, ‘প্রশাসনিক ও ইভিএমের কারচুপির’ কারণে তাকে ভোটে হারতে হয়েছে।
রোববার অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে ফল ঘোষণা চলার মধ্যে সন্ধ্যার পর নৌকার প্রার্থী আইভীর সমর্থকরা যখন জয়োল্লাস মেতে ওঠে, তখন মাসদাইরে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে আসেন হাতি প্রতীকের প্রার্থী তৈমুর।
তিনি বলেন, এই ভোটে অংশ নিয়ে তাকে সরকারের সঙ্গে ‘খেলতে’ হয়েছে।
ভোট দিয়ে তৈমুর বললেন, ‘স্রোত আমার দিকে’
“প্রশাসনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইভিএমের কারচুপির জন্য আজকে আমাদের এ পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। এ পরাজয়কে পরাজয় মনে করি না। আমি ধন্যবাদ জানাই জনগণকে, মিডিয়াকে।”
তৈমুর বলেন, “জনগণের উপস্থিতি স্বতঃস্ফূর্ত ছিল। তারা ভোটটা দিতে পারেনি। মেশিনটা স্লো। ভেতরে একটা ইঞ্জিনিয়ারিং হয়েছে; নাহলে এত ডিফারেন্স হতে পারে না।
“এটা খেলা হয়েছে সরকার ভার্সাস জনগণ, সরকার ভার্সাস তৈমুর আলম খন্দকার।”
বিএনপি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়ার পর এই নির্বাচনে তৈমুর স্বতন্ত্র প্রার্থী হন, তবে দলের স্থানীয় নেতারা তার সঙ্গেই ছিলেন।
ভোটের আগে-পরের পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে আমার জন্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন; পুলিশের আচরণ। সেটারই প্রমাণ হয়েছে। সকাল থেকে বলে এসেছিলাম ইভিএম মেশিনটা ত্রুটিপূর্ণ, স্লো। কোথাও কোথাও অকেজো, হ্যাং হয়ে যায়।”
গ্রেপ্তার-হয়রানির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “নির্বাচনে যারা ব্যস্ত ছিলেন, তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঢাকা থেকে আওয়ামী লীগের লোক আসার পর থেকে গ্রেপ্তার করা শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় একজন মানুষ স্বতন্ত্র দাঁড়িয়ে কিভাবে ঠিক থাকতে পারে?
“জনগণ আমাকে সর্বাত্মক সমর্থন করেছে, তাদের ধন্যবাদ জানাই। গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানাই।”
২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন তৈমুর। সেবার দলীয় সিদ্ধান্তে ভোটের আগের দিন তাকে সরে যেতে হয়েছিল। সেবার আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী জয়ী হন।
২০১৬ সালে পরের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী করেছিল সাখাওয়াত হোসেনকে। তবে ফল বদলায়নি। আইভীই আবার মেয়র হন।
এবার নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পদ হারাতে হয় তৈমুরকে।
ভোট শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “তৈমুর আলমের খন্দকারের পদ-পদবি লাগে না। বিএনপি রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে। এটা নিয়ে মরতে চাই।”
-
কতটা সেবা দিতে পারছে বিআরটিসি?
-
আমাকে ‘বুড়া’ ডেকেছিল: ঢাবির পঞ্চাশোর্ধ ভর্তি পরীক্ষার্থী বেলায়েত
-
রায়ের পর নির্যাতিত সেই তরুণীকে ফেরত পাঠালো ভারত
-
জন্মদিনে শুভেচ্ছাসিক্ত রদওয়ান
-
ওয়াশিংটনে নানা বৈঠকে পররাষ্ট্রের সংসদীয় কমিটি
-
স্বর্ণ উদ্ধার করে মাদকের মামলা: চাকরি গেল এসপি আলতাফের
-
সিলেটবাসী ভাসছে বন্যায়, পরিস্থিতির উন্নতির আভাস
-
বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা মেরামতে জোর শেখ হাসিনার
-
কতটা সেবা দিতে পারছে বিআরটিসি?
-
রায়ের পর বেঙ্গালুরুতে নির্যাতিত সেই তরুণীকে ফেরত পাঠালো ভারত
-
আমাকে ‘বুড়া’ ডেকেছিল: ঢাবির পঞ্চাশোর্ধ ভর্তি পরীক্ষার্থী বেলায়েত
-
মালদ্বীপে বৈধ হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশিরা
-
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ
-
বেঙ্গালুরুতে তরুণীকে নির্যাতন: হৃদয় বাবুসহ ১১ বাংলাদেশি দণ্ডিত
সর্বাধিক পঠিত
- রিজার্ভ আবার ৪২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
- কানের গালিচায় নগ্ন হয়ে প্রতিবাদ
- স্বর্ণ উদ্ধার করে মাদকের মামলা: চাকরি গেল এসপি আলতাফের
- ফাইনালের আগে আবারও রিয়ালের হোঁচট
- বেঙ্গালুরুতে তরুণীকে নির্যাতন: হৃদয় বাবুসহ ১১ বাংলাদেশি দণ্ডিত
- বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ভ্যানে, প্রাণ গেল ২ জনের
- ‘ব্রাজিলের বিশ্বকাপ না জেতাটা হবে ব্যর্থতা’
- অবশিষ্ট যোদ্ধাদের আত্মসমর্পণ, শেষ হল ইস্পাত কারখানার অবরোধ
- শেষ হচ্ছে দি মারিয়ার পিএসজি অধ্যায়
- রিয়ালে যাচ্ছেন না এমবাপে, থাকছেন পিএসজিতেই!