মাঘের শীতের মধ্যে রোববার সকাল ৯টায় মাসদাইরের ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে হাজির হন ছাদিম আলী। ওই এলাকাতেই তিনি থাকেন।
ইভিএমে ভোট দিতে হবে শুনে শুরুতে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন অশীতিপর এই বৃদ্ধ। কীভাবে দেবেন? পারবেন তো?
কেন্দ্রের ভেতরে যাওয়ার আগে তিনি বলে গেলেন, “জীবনে অনেক ভোট দিয়েছি বাবা, কিন্তু এই নতুন সিস্টেমে কখনও দিইনি।”
ছাদিম আলীর মত অনেকের জন্যই ইভিএম আ ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন একটি নতুন অভিজ্ঞতা। প্রায় সোয়া পাঁচ লাখ ভোটারের এই সিটিতে এবারই প্রথম সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
ভোট দিয়ে আধা ঘণ্টা পর ছাদিম আলী যখন কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে এলেন, তার সঙ্গে কথা হল আবার।
হাসি মুখে এই বৃদ্ধ বললেন, “পেরেছি বাবা, সোজা। আগে আঙ্গুলে কালি লাগিয়ে মার্কার উপর চাপ দিতাম। আজও চাপ দিয়েছি অন্যভাবে।”
করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে এবারের নির্বাচনে স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়িও মানতে হচ্ছে। পুলিশ কেন্দ্রে মাস্ক ছাড়া কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। মাস্ক আর ভোটার স্লিপ না থাকলে অনেককে ফিরিয়ে দিতেও দেখা গেছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি শাহ জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাস্ক আর ভোটার স্লিপ চাওয়া হচ্ছে আর ভোটার আইডিও আনতে বলা হচ্ছে।তবে মাস্ক ছাড়া কাউকে কেন্দ্র প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।”
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ সিটির ১৯২ কেন্দ্রকে সমান গুরুত্ব দিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
“ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র বলতে কিছু নেই। সব কেন্দ্রকে সমান গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।… কেউ কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করলেই তাকে জেলে থাকতে হবে।”