সুন্দরবনে পর্যটকবাহী নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

সুন্দরবনে পর্যটকবাহী নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এক দিনের মধ্যে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ -বিআইডব্লিউটিএ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকখুলনা প্রতিনিধি ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Jan 2022, 04:41 AM
Updated : 14 Jan 2022, 10:13 AM

তার বদলে পর্যটক সংখ্যা সীমিত রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকবাহী নৌযান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে বিআইডব্লিউটিএ এর উপ পরিচালক মিজানুর রহমান জানিয়েছেন।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বাড়তে থাকায় বৃহস্পতিবার খুলনা থেকে সুন্দরবন ভ্রমণ, শিক্ষা সফর, বনভোজন, নৌভ্রমণ ও নৌবিহারে পর্যটকবাহী নৌযান ও লঞ্চগুলোর চলাচল ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত’ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

খুলনা নদী বন্দরের বন্দর ও পরিবহন বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান ও পরিচালকের মৌখিক নির্দেশনা পেয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ওই প্রজ্ঞাপন পাওয়ার পর শুক্রবার সকালের দিকে ট্যুরিস্টবাহী লঞ্চগুলো খুলনা থেকে ছেড়ে গেছে।

নতুন প্রজ্ঞাপনে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও দুর্ঘটনা এড়াতে ট্যুরিস্ট অপারেটরদের জন্য ছয় দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

নির্দেশনাগুলো হল-

঳ পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভ্রমণ করতে হবে

঳ প্রতিটি লঞ্চে ৭৫ জনের বেশি পর্যটক নেওয়া যাবে না

঳ ট্যুর অপারেটররা প্রত্যেক পর্যটকের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করবেন

঳ লঞ্চে ওঠানামার সময় প্রত্যেক পর্যটককে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে

঳ নদীর মাঝখান থেকে কোনো পর্যটক যেন লঞ্চে না ওঠেন, তা ট্যুর অপারেটরদের নিশ্চিত করতে হবে

঳ বিআইডব্লিউটিএ’র অনুমতি ছাড়া কোনো লঞ্চ যেন সুন্দরবন ভ্রমণে না যায়, সে বিষয় নিশ্চিত করতে হবে।

ট্যুরিস্ট অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আজম ডেভিড বলেন, বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোথাও কোনো কিছু বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ সরাসরি সুন্দরবনে যাওয়া ট্যুরিস্ট নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়ে গিয়েছিলেন তারা। পরে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানের কাছে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করার পর তা মেনে নেওয়া হয়।

নিষেধাজ্ঞা বাতিলের নির্দেশনা পেয়ে শুক্রবার সকালেই পর্যটক নিয়ে খুলনা থেকে সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে ২০টির বেশি লঞ্চ ছেড়ে গেছে বলে জানান তিনি।