আবহাওয়াবিদ মো. আরিফ হোসেন বলছেন, মাঘ মাসের শুরুতে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় জেঁকে বসতে পারে শীত।
বৃহস্পতিবারও রংপুর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেট অঞ্চলের কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে বগুড়ায় সর্বোচ্চ ১৬ মিলিমিটার, সিলেটে ১২ মিলিমিটার, রংপুরে ৮ মিলিমিটার, সৈয়দপুরে ১০ মিলিমিটার, সন্দ্বীপে ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।
এদিন সৈয়দপুরে দেশের সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর চট্টগ্রামের ৩১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দেশে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
বৃষ্টির আগেই কয়েকদিন ধরে দিনের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছিল। রাতেও কমে এসেছিল শীতের অনুভূতি। অনেকেই বলছিলেন, পৌষ মাসে দিনের বেলায় এমন গরম তারা আগে দেখেননি।
এ বিষয়ে আরিফ হোসেন বলেন, এবার হিমালয় থেকে বাসা উত্তুরে ঠাণ্ডা হাওয়ার প্রবাহটা কম থাকায় শীতটাও কম। তবে ১৫ জানুয়ারি থেকে ফের তাপমাত্রা কমতে থাকবে।
“বছরের শুরুতে শৈত্যপ্রবাহ ছিল। কয়েকদিন আগে তা কেটে গেছে। এর মধ্যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হল। তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও শীতের অনভূতি রয়েছে বিভিন্ন অঞ্চলে।”
শনিবারের পরে আরেকদফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আভাস রয়েছে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।
বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে।
চলতি মৌসুমে ২০ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সে সময় তিন দিন গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও বরিশাল অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ ছিল।
শুক্রবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের উত্তরাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দেশের অন্যত্র প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রাও অপরিবর্তিত থাকবে।
খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা/গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আকাশ আংশিক মেঘলা এবং আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও থাকতে পারে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা।
এমনিতে বাংলাদেশে জানুয়ারিতেই শীতের প্রকোপ থাকে বেশি। এ মাসে দুয়েকটি মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আভাস রয়েছে।