ডি-৮ মন্ত্রীদের বৈঠক বুধবার, গুরুত্ব পাবে খাদ্য নিরাপত্তা

কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতি বিবেচনায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে হবে উন্নয়নশীল দেশের জোট ডি-৮ এর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক; যা ঢাকায় সশরীরে হওয়ার কথা ছিল।

মঙ্গলবার কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ভাচুর্য়াল সংবাদ সম্মেলনে জানান, দু’দিনের উচ্চ পর্যায়ের এ বৈঠকে জোটের অন্য সদস্য মিশর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ইরান, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্কের কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রী এবং সচিবরা অংশ নেবেন।

এছাড়া আইডিবি, এফএও, আইআরআরআইসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা থাকবেন।

বাংলাদেশ এখন ডি-৮ ফোরামের সভাপতি। এবার ঢাকায় সপ্তম ডি-৮ মিনিস্টারিয়াল মিটিং অন এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড শীর্ষক এ বৈঠক সশরীরে হওয়ার কথা থাকলেও তা ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে হবে।

এতে কৃষি এবং খাদ্য নিরাপত্তার উপর জোর দেওয়া হবে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচারের প্রমোশন নিয়ে আলোচনা হবে।  

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কৃষির উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে করণীয়, যৌথ কৃষি গবেষণা, যান্ত্রিকীকরণ, এগ্রো-প্রসেসিং, সমুদ্র অর্থনীতি, সার উৎপাদন, বীজ, প্রাণী খাদ্য, ভ্যালু চেইন উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বাড়ানোসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে।

চালের দাম নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চালের উৎপাদন প্রতিবছর বাড়ছে। বাজারে চালের পর্যাপ্ততা রয়েছে।

“কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, বর্তমানে বিশ্ববাজারে গমের দাম বেড়েছে। গমের দাম বাড়লে চালেরও দাম বাড়ে।“

দেশে ১০ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে এবং প্রতিবছর ২২-২৪ লাখ নতুন মুখ যোগ হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এছাড়া প্রাণী খাদ্য হিসেবেও চালের কিছু ব্যবহার হচ্ছে। এসব বিষয় ও কিছুটা মুদ্রাস্ফীতির ফলে চালের দাম কিছুটা বেশি। কিন্তু বাজারে গেলে চাল পাওয়া যায় না বা মানুষ কিনতে পারে না এমন পরিস্থিতি নেই। এ মুহূর্তে দেশে খাদ্যের কোনো সংকট নেই।

সংবাদ সম্মেলনে কৃষি সচিব সায়েদুল ইসলাম ও অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।