সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়ারী থানার এসআই (নিরস্ত্র) রাজীব চন্দ্র সরকার আসামিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।
আবেদন শুনে ঢাকার মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম তার খাসকামরায় জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর আসামিকে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন তিনি।
এসময় আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবীকে আদালতে দেখা যায়নি।
সংশ্লিষ্ট থানার আদালতের সাধারন নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক সানোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার গাড়ি চালানোর লাইসেন্স ছিল না বলে জবানবন্দিতে সে স্বীকার করেছে।
৮ জানুয়ারি শনিবার সকালে মেঘলা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কয়েকজন পথচারীকে ধাক্কা দেয়। এ সময় শেখ ফরিদ ও বাদশা মিয়া মারা যান। আহত হন আরও কয়েকজন।
এ ঘটনায় শেখ ফরিদের ভাই শাকিল ওই দিনই সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৯৮ ও ১০৫ ধারায় ওয়ারী থানায় একটি মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ৮ জানুয়ারি সকাল ৭টার দিকে শেখ ফরিদ চিংড়ি মাছ কেনার জন্য কাপ্তান বাজারের উদ্দেশ্যে বের হন। আর বাদশা মিয়া যাত্রাবাড়ী থেকে গুলিস্তানে মাল ডেলিভারি দেওয়ার জন্য রওনা হন। সকাল সাড়ে ৯টার সময় মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজার ৪০ মিটার পূর্বদিকে হেঁটে নামার সময় যাত্রাবাড়ী থেকে আসা মেঘলা পরিবহনের বাস ফরিদ ও বাদশার ওপর উঠিয়ে দেয়। এতে তারা গুরুতর জখম হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া ওই গাড়ির আঘাতে ওমর শরিফসহ কয়েকজন আহত হন।
মামলার পর ওয়ারী এলাকা থেকে মেঘলা পরিবহনের চালক রাকিব শরীফকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।