শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘এখনই বন্ধ হচ্ছে না’

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের দিকে যাচ্ছে না সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Jan 2022, 03:29 AM
Updated : 10 Jan 2022, 03:29 AM

রোববার রাতে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ভার্চুয়াল বৈঠকে আপাতত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় কারিগরী পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, এখন যেভাবে সীমিত পরিসরে স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় চলছে, সেভাবেই চলবে।

“আমরা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করব এবং ঘনঘন আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।”

অধ্যাপক সহিদুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা এবং স্বাস্থ্যবিধি আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে যেন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, সরকার সেই চেষ্টা করবে। পরিস্থিতি ‘বেশি খারাপ’ হলে তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা ভাবা হবে।

“যদি আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিই, তাহলে এটারও প্রভাব অনেক বেশি পড়বে। আবার সংক্রমণ বেড়ে গেলেও সমস্যা। তো সবকিছু মিলিয়ে এখন যেহেতু ছয়ের ওপর (৬ শতাংশের বেশি) সংক্রমণের হার, সেটাকে বিবেচনায় নিয়ে স্কুল কলেজগুলো যেভাবে চলছে খোলা থাকবে, কিন্তু কোনো কারণে যদি পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায়, সাথে সাথে বন্ধ করার ব্যাপারে চিন্তা করা হবে।”

দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক বিধিনিষেধের মধ্যে ২০২০ সালের মার্চে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ৫৪৩ দিন পর গত ১২ সেপ্টেম্বর আবার শ্রেণিকক্ষে ফেরে শিক্ষার্থীরা।

দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। তবে স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে তাদের পরবর্তী শ্রেণিতে তুলে দেওয়া হয়েছে অ্যাসাইনমেন্ট ও পাঠ মূল্যায়নের মাধ্যমে।

এরইমধ্যে গত নভেম্বরে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে। বাংলাদেশেও ২১ জনের মধ্যে ওমিক্রনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, গত এক সপ্তাহে দেশে কোভিড রোগী বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। রোববার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪৯১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা ১৫ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ।

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠকের আগে রোববার এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছিলেন, ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ বাড়লেও শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু রাখতে ‘সর্বাত্মক’ চেষ্টা চালিয়ে যাবে সরকার।

দেশে এখন ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদেরও কোভিড টিকা দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী আরও কম বয়সীদের টিকা দেওয়ার সুযোগ তৈরি হলে সরকার সে ব্যবস্থাও করবে বলে ইতোমধ্যে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।