ওই হাসপাতালের মালিক আটক গোলাম সরোয়ারের বিরুদ্ধে ‘অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যু সংঘটনের’ অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করা হয়েছে র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন জানিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে শ্যামলী থেকে তাকে গ্রেপ্তারের পর বিকালে কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হয়।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মঈন সাংবাদিকদের বলেন, রাজারবাগ, বাসাবো, মুগদা, মোহাম্মদপুর ও শ্যামলী এলাকার ছয়টি হাসপাতালে ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ‘ব্যবসার’ সঙ্গে জড়িত সারোয়ার।
“শ্যামলীতে ওই হাসপাতাল খুলে এক বছর ধরে ব্যবসা করছিলেন সারোয়ার। মূলত আইসিইউকেন্দ্রিক ব্যবসার ফাঁদ তৈরি করে সে অবৈধ ব্যবসা করে যাচ্ছে।”
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে এই র্যাব কর্মকর্তা জানান, সরোয়ার ২০ থেকে ২২ বছর যাবত ব্যবসা করে আসছেন। হাসপাতাল পরিচালনার বিধি মোতাবেক সার্বক্ষণিক ৩ জন চিকিৎসক কর্তব্যরত থাকার কথা থাকলেও শ্যামলীর হাসপাতালে একজন ছিল।
সাভারের বাটপাড়া রেডিও কলোনির বাসিন্দা আয়েশা বেগম ছয় মাস বয়সী দুই জমজ শিশু আব্দুল্লাহ ও আহামেদের চিকিৎসার জন্য ওই হাসপাতালে যান। তার স্বামী কুমিল্লার হোমনার জামাল সৌদি আরবে থাকেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে শিশু দুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে একটির মৃত্যু হয়।
আয়েশা বেগমের দাবি, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে তাদের বের করে দেওয়া হয় এবং শাহিন নামে একজনের মাধ্যমে তাদের ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। পথে একটি শিশুর মৃত্যুর পর অন্যটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আমার বাংলাদেশ হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তিনি বলেন, এই হাসপাতালের গাফলতির কারণে তার এক শিশু মারা গেছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ‘আমার বাংলাদেশ হাসপাতাল’ নামে ওই হাসপাতালে দায়িত্বরত এক কর্মী বলছেন, ‘স্বেচ্ছায়ই’ ওই শিশু দুটিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মা।