বাছির-মিজান দুজনেরই দাবি, তারা নির্দোষ

ঘুষের মামলায় আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান এবং দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Jan 2022, 07:22 PM
Updated : 3 Jan 2022, 07:22 PM

সোমবার ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলমের কাছে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান তারা।

বিচারক তাদের কাছে সাফাই সাক্ষী দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের পক্ষ থেকে ‘না’ সূচক উত্তর আসে।

তবে দুই আসামি লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়া কথা জানালে বিচারক আগামী ১২ জানুয়ারি তা জমা দেওয়ার তারিখ ধার্য করেন।

মিজানুর রহমান ও এনামুল বাছিরকে কারাগার আদালতে হাজির করা হয়।

এক নারীকে জোর করে বিয়ের পর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠায় ২০১৯ সালে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় মিজানকে।

এর চার মাস পর তার সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক; এক হাত ঘুরে সেই অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান কমিশনের তৎকালীন পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।

সেই অনুসন্ধান চলার মধ্যেই ডিআইজি মিজান দাবি করেন, তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা বাছির।

এর সপক্ষে তাদের কথপোকথনের কয়েকটি অডিও ক্লিপ একটি টেলিভিশনকে দেন তিনি। ওই অডিও প্রচার হওয়ার পর দেশজুড়ে শুরু হয় আলোচনা।

অভিযোগটি অস্বীকার করে বাছির দাবি তখন করেন, তার কণ্ঠ নকল করে ডিআইজি মিজান কিছু ‘বানোয়াট’ রেকর্ড একটি টেলিভিশনকে সরবরাহ করেছেন।

অন্যদিকে ডিআইজি মিজান বলেন, সব জেনেশুনেই তিনি কাজটি করেছেন ‘বাধ্য হয়ে’।

৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থার পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে তিনি অভিযোগপত্র দেন।

গত বছর ১৮ মার্চ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ হয়।

ঘুষের অভিযোগ ওঠার পর তাদের দুজনকেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ২০২০ বছরের ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে দুদকের একটি দল। আরেক মামলায় গ্রেপ্তার ডিআইজি মিজানকেও পরে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মামলার ১৭ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গত ২৩ ডিসেম্বর বিচারক শেখ নাজমুল আলম আত্মপক্ষ শুনানির তারিখ ঠিক করেন।