উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের উদযাপন রোববার

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ থেকে বাংলাদেশকে চুড়ান্তভাবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নয়নে সুপারিশ উদযাপন করতে যাচ্ছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Jan 2022, 08:35 AM
Updated : 1 Jan 2022, 08:35 AM

রোববার ঢাকার শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উদযাপনের এই অনুষ্ঠান বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

শনিবার এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি বলেন, সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে এই অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন।

গত ২৪ নভেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের উন্নয়নের জন্য চুড়ান্ত অনুমোদন দেয়।

অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল। ফাইল ছবি

গত ১২ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনীতির অভাবনীয় অর্জন ‘রূপকথার গল্পকেও হার মানায়’ বলে মন্তব্য করেন মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, “করোনার আগের ১০ বছরে ১৮৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এমনকি করোনায় যখন সারা বিশ্বের অর্থনীতি ৩ দশমিক ১ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছে, সে সময়ও বাংলাদেশের অর্থনীতির সকল সূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখী। অর্থনৈতিক এই সাফল্যে আজ আমাদের উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল করছে।”

অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ঠ (এসডিজি) অর্জনের মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ এবং ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হব, ইনশাল্লাহ।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমাদের উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পথেও কিছু চ্যালেঞ্জে আছে। অনেকেই আমাদের রপ্তানি কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন। আসলে তেমন কিছুই হবে না, বরং রপ্তানি আরও বাড়বে।

“কারণ এখন আমরা আগের অবস্থানে নেই। এখন আমাদের মানুষের দক্ষতা অনেক বেড়েছে। আমাদের সুযোগগুলা কাজে লাগাতে চাই আমরা। জনমিতিক সুবিধা কাজে লাগিয়ে আমরা এই সুযোগ গ্রহণ করতে চাই।”

এসময় তিনি এক গবেষণা ফলাফল উদৃতি করে বলেন, আগামী ২০৩৬ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের ২৪তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হব।

“এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সূখী সমৃদ্ধ উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার মাধ্যমে জাতির পিতার কল্পিত সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের সুবর্ণ রেখাটি স্পর্শ করতে পারবে।”

এর আগে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে তিনটি শর্ত পূরণ করায় জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য সুপারিশ করেছে। পরে জাতিসংঘের আরেকটি সংগঠন ইকোসক এটাকে সমর্থন করেছে। সর্বশেষ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ গত ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের সুপারিশ অনুমোদন করেছে।

এই অনুমোদন ৫ বছরের প্রস্তুতিমুলক সময়সহ ২৩ নভেম্বর ২০২৬ সাল থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পরিগণিত হবে বলে হবে বলে জানান তিনি।

সচিব বলেন, “গত ২৪ নভেম্বর জাতিসংঘের চুড়ান্ত ঘোষণা পাওয়ার পর ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতার ৫০ বছর ও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠান থাকায় আমরা এটার সাথে মেলাতে চাইনি। এই বছরেই আমরা আমাদের উদযাপনটা পালন করব।”