শুক্রবার রাতে মোঃ হাবিব খান (৪৫) নামে এ ব্যক্তির মারা যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন আবাসিক সার্জন এসএম আইউব হোসেন।
এ নিয়ে লঞ্চের আগুনের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৮; যাদের অধিকাংশই ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। আর ঢাকা ও বরিশাল মিলে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন অন্তত ৮০ জন।
বার্ন ইউনিটে রাতে মারা যাওয়া হাবিবের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার মধ্যম তেঁতুল বাড়ী গ্রামে। তার বাবার নাম বেলায়েত আলী খা।
এ ঘটনায় সামান্য আহত হয়েছেন তার স্ত্রী সাহেরা বেগম।
দুর্ঘটনার পর শুক্রবার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয় ১৭ জনকে। এদের মধ্যে বিকাশ মজুমদারকে (১৭) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় আরও তিন জনকে।
চিকিৎসাধীন দগ্ধ রোগীদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এখন ভর্তি রয়েছেন- তামিম হাসান (৮), জেসমনি আক্তার (৩৫), বাচ্চু মিয়া (৫১), ইসরাত জাহান (২২), শাহীনুর খাতুন (৪৫), সাইফুল্লাহ মনসুর সাদিক (১৬), মারুফা ৪৮), সেলিম রেজা (৪৫),
মমতাজ বেগম (৭০) ও তার নাতনি লামিয়া আক্তার (১৩), মোঃ রাসেল (৩৮), বঙ্কিম মজুমদার (৬০) ও তার স্ত্রী মনিকা রানী (৪০), খাদিজা আক্তার (২০) ও মারুফা আক্তার (৪৫)।
দগ্ধ এসব যাত্রীদের বেশির ভাগই গুরুতর অসুস্থ। এদের অনেককে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনা হয়।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকার সদরঘাট থেকে বরগুনার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া অভিযান-১০ লঞ্চে যখন আগুন লাগে, তখন রাত ৩টার বেশি বাজে। অনেকে ছিলেন গভীর ঘুমে।
চিৎকার চেঁচামেচিতে তাদের ঘুম ভাঙে; কী ঘটেছে বুঝে ওঠার আগেই কেউ দগ্ধ হয়েছেন, কেউ প্রাণ হারিয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় প্রায় তিন ঘণ্টা শুক্রবার ভোরের দিকে তা নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন: