রোববার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের বিষয়টি আমিও জানি। এ ঘটনায় আমাদের গুলশান বিভাগের বনানী থানায় একটি মামলা হয়েছে, তদন্ত চলছে।”
সার্জেন্ট মহুয়ার করা মামলায় আসামির নাম না থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করলে হাফিজ আক্তার বলেন, “নাম না দেওয়ার কারণ কী, ঘটনা কী ঘটেছে, সেসব বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কার দোষ সেটি খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গত ২ ডিসেম্বর মধ্যরাতে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে একটি বিএমডব্লিউ গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য মনোরঞ্জন হাজং। দুই দফা অস্ত্রপচারে তার ডান পা হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলতে হয়। তিনি বারডেম হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
মনোরঞ্জনের একমাত্র মেয়ে মহুয়া হাজং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সার্জেন্ট। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তার বাবাকে ধাক্কা দেওয়া লাল রঙের বিএমডব্লিউ গাড়িটির চালকের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে বনানী থানা তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল।
এ নিয়ে সমালোচনার মুখে গত ১৬ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহন আইনের ৯৮ ও ১০৫ ধারায় মহুয়ার করা মামলা রেকর্ড করে বনানী থানা। সেখানে গাড়ির চালকের নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাতনামা দুজনকে আসামি দেখানো হয়।
কিন্তু শনিবার জানা যায়, ওই মামলা নেওয়ার আগেই ১৪ ডিসেম্বর গাড়ির চালক সাঈদ হাসান বনানী থানায় একটি জিডি করেন। সেখানে দুর্ঘটনার জন্য ‘উল্টো পথে থাকা’ মোটরসাইকেলআরোহী মনোরঞ্জন হাজংকেই দায়ী করেন তিনি।
অথচ দুদিন পর মহুয়ার দায়ের করা মামলায় আসামিদের দেখানো হয় ‘অজ্ঞাতপরিচয়’। মহুয়ার দাবি, তিনি গাড়ি চালক সাঈদ হাসানের নাম উল্লেখ করেই মামলা করতে চেয়েছিলেন; কিন্তু সেটা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেন, “পুলিশ সার্জেন্ট মহুয়া আমাদেরই একজন সদস্য। যেহেতু মামলা হয়েছে, তাই সাধারণ মানুষ যেভাবে বিচার পান, তার বিষয়টি সেভাবে দেখা হবে। তার মামলার বিষয়ে গুলশান বিভাগ কাজ করেছে।”
আরও পড়ুন