বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে নিন্দা জানানোর পাশাপাশি ভূক্তভোগীদের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বাংলাদেশে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের যৌথ প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে এইচআরএফবি। এর আহ্বায়ক আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক গোলাম মনোয়ার কামাল।
এছাড়া মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, নাগরিক উদ্যোগ, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), স্টেপস টুওয়ার্ডস ডেভলপমেন্ট, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির প্রতিনিধিরা এটির স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য।
বৃহস্পতিবার এইচআরএফবির সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়, “রাজধানীর গুলশানে মধ্যরাতে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে এক নারী পুলিশ সার্জেন্টের বাবাকে চাপা দেওয়ার ঘটনার ১২ দিন পরও অভিযোগ নেয়নি পুলিশ।
“গণমাধ্যমের খবর, অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় অভিযোগ আমলে নিচ্ছেন না কর্মকর্তারা।এইচআরএফবি এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।“
বিবৃতিতে একইসঙ্গে ভূক্তভোগীর নৃ-তাত্ত্বিক কিংবা অভিযুক্তের পারিবারিক পরিচয় কোনোভাবেই যাতে বিচারলাভের অন্তরায় হয়ে না দাঁড়ায় এবং আলোচিত এ ঘটনা যাতে ভুক্তভোগীর পেশাগত ও পারিবারিক জীবনে কোনো প্রকার নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি না করে তা নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “গণমাধ্যমসূত্রে জানা গেছে, তিন দফায় নারী সার্জেন্ট মহুয়া হাজং মামলা করার চেষ্টা চালিয়েছেন; কিন্তু তার মামলা নেওয়া হয়নি।“
দুর্ঘটনার পর পথচারীরা গাড়ির চালক ও গাড়িটিকে আটক করে পুলিশে দিলেও কিছুক্ষণ পর তাদের পুলিশ ছেড়ে দেয় উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, আহত মনোরঞ্জনকে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার কোমরের নিচের অংশ থেতলে যাওয়ায় একটি পা কেটে ফেলতে হয়েছে। এখন তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।
এতে বলা হয়, “একজন পুলিশ হয়েও মহুয়া হাজং এতবার প্রচেষ্টা চালানোর পরও মামলা করতে না পারা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, এক্ষেত্রে কোনো প্রভাবশালী পক্ষ ভূমিকা রাখছে।
“এ পরিস্থিতিতে এইচআরএফবির দাবি হচ্ছে দ্রুততার সঙ্গে মামলা গ্রহণ এবং নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থাকার পরও মামলা গ্রহণ না করার জন্য দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা, নারী সার্জেন্ট ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।“
একই সঙ্গে নারী সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের পেশাগত জীবনে এ ঘটনা যেন কোনো প্রকার নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি না করে তা নিশ্চিত করা এবং মনোরঞ্জন হাজংয়ের সুচিকিৎসার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।