তাদের জামিন আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি আতোয়ার রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।
আগাম জামিনের মেয়াদের মধ্যে মিথিলা বা শবনম ফারিয়া হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তা বিবেচনা করতে বলেছে হাই কোর্ট।
মিথিলার পক্ষে হাই কোর্টে শুনানি করেন আইনজীবী নিয়াজ মোরশেদ; ফারিয়ার পক্ষে ছিলেন জেসমিন সুলতানা।
সাদ স্যাম রহমান নামের এক ব্যক্তি নিজেকে ইভ্যালির এক গ্রাহক হিসেবে পরিচয় দিয়ে ৪ ডিসেম্বর ঢাকার ধানমণ্ডি থানায় নয় জনের নামে মামলা করেন।
ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল, তার স্ত্রী ও কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের পাশাপাশি গায়ক তাহসান খান, মিথিলা ও ফারিয়াকেও আসামি করা হয়।
গত মার্চে ইভ্যালির পণ্যদূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান রহমান খান। পরে গ্রাহকদের অসন্তোষ নিয়ে নানা খবরের মধ্যে তিনি ওই চুক্তি বাতিল করার কথা জানান।
ইভ্যালির বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হওয়ার পর শুভেচ্ছাদূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ থাকা অভিনেত্রী মিথিলাও চুক্তি বাতিলের খবর দিয়েছিলেন। আর ওই ই কমার্স কোম্পানির জনসংযোগ কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা শবনম ফারিয়া চাকরি ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন।
আইনজীবী জেসমিন সুলতানা বলছেন, বাদী অপরাধের তারিখ দেখিয়েছেন চলতি বছরের ২ মে। আর ফারিয়া ইভ্যালিতে যোগ দিয়েছিলেন ১ জুন। ফলে ফারিয়ার নামে এ মামলা চলতে পারে না।
গাড়ি, মোটরসাইকেল, গৃহস্থালির আসবাবপত্র, স্মার্ট টিভি, ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিনসহ বিভিন্ন বিলাসী পণ্য অর্ধেক দামে বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের নজরে এসেছিল ইভ্যালি।
তাদের চমকদার ‘অফারের’ প্রলোভনে অনেকেই বিপুল অংকের টাকা অগ্রিম দিয়ে পণ্যের অর্ডার করেছিলেন পরে বেশি দামে বিক্রি করে ভালো লাভ করার আশায়।
কিন্তু তাদের অনেকে মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও পণ্য বুঝে পাননি, ইভ্যালি অগ্রিম হিসেবে নেওয়া তাদের টাকাও ফেরত দেয়নি। এভাবে প্রলোভনে পড়ে ব্যাংক ঋণ, ধার-দেনা করে, জমি বা গয়না বেচে সেই টাকা ইভ্যালিতে লগ্নি করে এখন মহাবিপদে আছেন বহু গ্রাহক।
ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে ইতোমধ্যে গ্রাহকের করা প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধানমণ্ডির নতুন মামলাতেও তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।