বৃহস্পতিবার ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক (অনূর্ধ্ব-১৭)ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭)২০২১ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “বিকেএসপি প্রত্যেকটা বিভাগে আমরা একটা করে করব। ইতিমধ্যে দুটোর অনুমোদন দেওয়া হয়ে গিয়েছে। বাকিগুলো আমরা করে দেব। খেলোয়াড়রা যেন সেখানে ভালো প্রশিক্ষণের সুযোগ পায়, সেই ব্যবস্থাটা সরকার করে দিচ্ছে।”
ক্রীড়া চর্চার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “আমি জানি, আমাদের ছেলে-মেয়েদেরকে আমরা যতবেশি খেলাধুলা,সংস্কৃতি চর্চার মধ্যে সম্পৃক্ত রাখতে পারব, তাহলে ছেলে- মেয়েরা বিপথে যাবে না।
“কখনও মাদকাসক্ত হওয়া বা জঙ্গিবাদের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া বা পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়া, সেগুলো করবে না। মানুষের মতো মানুষ হবে, সেটাই আমি চাই।”
অস্বচ্ছল, অসুস্থ খেলোয়াড়দের অর্থ সহায়তার ঘোষণাও দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “অনেক সময় অনেক ক্রীড়াসেবীরা অসুস্থ হয়, অস্বচ্ছল হয়, তাদেরকে সাহায্য করার জন্য একটা ফাউন্ডেশন করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন। অতি সম্প্রতি সেখানে ১০ কোটি টাকা সিড মানি হিসেবে আমি দিয়েছি। কিন্তু সেখানে আমি আরও ২০ কোটি টাকা সিড মানি হিসেবে আমি দেব।
“যাতে কোনো ক্রীড়াবিদ যদি খেলতে গিয়ে অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে, অনেক সময় আঘাতপ্রাপ্ত হয়,তাদের চিকিৎসা লাগে বা যখন একটু বয়স হয়ে যায়, তখন তারা খেলতে পারে না, তখন তাদের খুব কষ্ট হয়। কাজেই এই কষ্টাটা দূর করার জন্য আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
খেলাধুলার প্রসারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেওয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, তার পরিবারের সদস্যরাও খেলাধুলার সঙ্গে সম্পৃক্ত।
তিনি বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার দীর্ঘ ২১ বছর পরও বাংলাদেশ খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে এগোতে পারেনি। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর খেলাধুলাকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেয়।
শেখ হাসিনা বলেন, “মেয়েরা-ছেলেরা আলাদাভাবে দেখি না, সবাইকে আমি বলব, তোমরা খুব মনোযোগ দিয়ে খেলাধুলা করবে। মনে রাখবে, ধীরে ধীরে তোমাদেরকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করতে হবে। সেই সময় বাংলাদেশের মুখ তোমরা উজ্জ্বল করবে। সেটাই আমি আশা করি।”
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত হন শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিজয়ী খেলোয়াড়দের হাতে পদক তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি খেলোয়াড়দের জন্য করোনা ভাইরাস মহামারীর মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দ হওয়া বিশেষ অনুদানের চেকও হস্তান্তর করেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, যুব ও ক্রীড়া সচিব আখতার হোসেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।