ইন্টারনেটে মুরাদের ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের ৩৮৭ লিংক পেয়েছে বিটিআরসি

মন্ত্রিত্ব হারানো মুরাদ হাসানের ‘কুরুচিপূর্ণ, অবমাননাকর ও অশালীন’ মন্তব্যের মোট ৩৮৭টি অডিও-ভিডিওর ফেইসবুক ও ইউটিউব লিংক চিহ্নিত করার কথা আদালতকে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন- বিটিআরসি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2021, 08:29 AM
Updated : 8 Dec 2021, 08:29 AM

এর মধ্যে ফেইসবুকের লিংক ২৭২টি, ইউটিউবের ১১৫টি। ফেইসবুক ১৫টি এবং ইউটিউব দুটি লিংক এরই মধ্যে অপসারণ করেছে কমিশন। 

এ ছাড়া মুরাদ হাসানের ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের আরও ২০০ লিঙ্ক চিহ্নিত করেছে ফেইসবুক। যা বন্ধ করার প্রক্রিয়ায় তারা নিজেরাই যাচাই-বাছাই শুরু করছে বলে বিটিআরসির ভাষ্য।

কমিশনের আইনজীবী খন্দকার রেজা ই রাকিব বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চে এ তথ্য দেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের মৌখিক আরজিতে মঙ্গলবার এ আদালত ইউটিউব-ফেইসবুসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে মুরাদ হাসানের ‘কুরুচিপূর্ণ, অবমাননাকর ও অশালীন’ মন্তব্যের অডিও-ভিডিও অপসারণের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছিল বিটিআরসি চেয়ারম্যানকে।

সেই সঙ্গে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা বুধবার আদালতকে জানাতে বলা হয়েছিল।

সে নির্দেশনা অনুযায়ী বিটিআরসির আইনজীবী খন্দকার রেজা ই রাকিব বুধবার আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমারও এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বিটিআরসির আইনজীবী রেজা ই রাকিব আদালতে বলেন, আদালতের আদেশ নজরে আসার পরই বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার নাসিমের নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ শুরু করেছে। ওই কমিটি ফেইসবুক এবং ইউটিবের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে।

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম তখন বলেন, বিটিআরসির একটি ভিজিলেন্স (পরিদর্শক) টিম থাকা উচিত, যাতে বিষয়গুলো নজরদারিতে রেখে প্রয়োজনে নিজেরাই ব্যবস্থা নিতে পারে।

আইনজীবী রেজা ই রাকিব বলেন, বিটিআরসি এ কাজটি একা করতে পারবে না। সেজন্য একটি রেজুলেশনের খসড়া করা হয়েছে। হাই কোর্টের আরেকটি বেঞ্চে তা দাখিলও করা হয়েছে।

“এটি যখন চূড়ান্ত হবে, তখন এ ধরনের অডিও-ভিডিওর লিংক সনাক্ত করতে সুবিধা হবে।”

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে ‘নারীবিদ্বেষী’ মন্তব্য করে সম্প্রতি বিএনপি নেতাদের সমালোচনায় পড়েন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান।

এরপর একটি টেলিফোন আলাপের অডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে একজন অভিনেত্রীর সঙ্গে অশালীন ভাষায় কথা বলতে এবং হুমকি দিতে শোনা যায় এক ব্যক্তিকে। বলা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি, মুরাদ হাসান।

এ অডিও কেলেঙ্কারির জেরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মঙ্গলবার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। জামালপুর আওয়ামী লীগের সম্পাদক পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

চিকিৎসাশাস্ত্রের ডিগ্রিধারী মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী, মেস্টা ও তিতপল্যা) আসনের এমপি। আওয়ামী লীগ তাকে দল থেকে বহিষ্কার করলে তার সাংসদ পদ নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হবে।  

আরও পড়ুন: