রাজধানীতে রোববার সকাল থেকেই থেমে থেমে হালকা বৃষ্টি চলছিল। সোমবার সকালে নগরবাসী কাজের তাগিদে রাস্তায় বেরিয়েই পড়েছেন মাঝারি বৃষ্টির বাগড়ায়।
টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় পানি জমে গেছে। যানবাহন তুলনামূলক কম হওয়ায় শিক্ষার্থী আর কর্মজীবীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় ফদিপুরে দেশের সর্বোচ্চ ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যশোরে রয়েছে ৬৮ মিলিমিটার। এ ছাড়া দেশের অধিকাংশ এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি অথবা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও উত্তর- উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে রূপ নিয়েছে।
তবে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রংপুর, রাজশাহী, সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এখন ক্রমান্বয়ে রাতের তাপমাত্রা কমতে থাকবে। মেঘলা আবহাওয়া কেটে যাওয়ার পর উত্তর পূর্বাঞ্চলে বেশ শীত অনুভূত হবে। পৌষের শুরুতে শীত জেঁকে বসবে বলে আভাস দিচ্ছেন এ আবহাওয়াবিদ।