আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস উপলক্ষে রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে 'বাংলাদেশের কমিউনিটির উন্নয়নে স্বেচ্ছাসেবার অবদান' শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
তাজুল ইসলাম বলেন, ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করে অনেকগুলো সভা করে, তৃণমূল ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে এই নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।
“খুব শিগগিরই মন্ত্রীসভায় উত্থাপন করে স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে। স্বেচ্ছাসেবার এই মহৎ কাজকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া ও স্বেচ্ছায় সেবাদানকারীদের স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে অন্যদেরও উৎসাহিত করা, যাতে সৃজনশীল ও পরকল্যাণমূলক জাতি হিসেবে বাংলাদেশ তার মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করতে পারে। এ নীতিমালা স্বেচ্ছাসেবা চর্চার বিষয়টিকে আর গতিশীল করবে।”
তাজুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যেও সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি, ছাত্র-শিক্ষক, এনজিও কর্মী এবং সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ অনেকেই স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে অংশ নিয়েছেন।
“জাতীয় নীতিমালা প্রণীত হলে যে কোনো দুর্যোগে, বিপদে-আপদে মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টি একটি স্বীকৃতি পাবে।”
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, ইউএনভি এশিয়া ও প্যাসিফিকের রিজিওনাল ম্যানেজার সেলিনা মিয়া, ইউএনএফপিএর প্রতিনিধি ড. একো নারিতা, বাংলাদেশ নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক তুয়োমো পৌতিয়াইনেনসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।