খালেদার জন্য ‘আইনি উপায়’ খুঁজছেন আইনমন্ত্রী

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে ‘আইনি উপায়’ খোঁজার কথা বলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Dec 2021, 12:41 PM
Updated : 5 Dec 2021, 12:41 PM

রোববার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানের পর এক সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমাদের কথা হচ্ছে, আইনের যেন কোনো ব্যত্যয় না হয়। আগে যে রকম করা হয়েছিল, সেটা সঠিক।

“কিন্তু এখানে যখন অনেক আবেদন এসেছে, আইনজীবীদের কাছ থেকেও আবেদন এসেছে। সেজন্য কিছু করা যায় কি না, সেটার কোনো উপায় আছে কি না, সব দিক দেখেই এটার একটা সুচিন্তিত সিদ্ধান্তে আসাটা আমার মনে হয় সমীচীন। সে জন্য আমরা একটু সময় নিচ্ছি।”

খালেদা জিয়া সরকারের ‘হেফাজতে’ রয়েছে- বিএনপির এমন দাবি গত ২৮ নভেম্বর নাকচ করে করে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন কারাগারে ফিরলে তার বিদেশ যাত্রার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।

সেদিন সংসদে দাঁড়িয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, “খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। উনি আমাদের কাস্টডিতে নাই। উনি সরকারের কাস্টডিতে নাই। তিনি দুটো শর্তে সম্পূর্ণ মুক্ত। মুক্ত বলে তিনি মুক্তভাবে বাসায় থাকতে পারছেন। মুক্ত আছেন বলেই তিনি মুক্তভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন।”

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়া এখন সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্ত। দেড় বছর আগে তার সাময়িক মুক্তির শর্তে বলা হয়েছিল, তাকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।

লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে গত ১৩ নভেম্বর থেকে হাসপাতালে ভর্তি খালেদা। পরিবার তাকে বিদেশ নিতে চাইলেও সরকারের সাড়া না পাওয়ায় বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে আসছেন, ক্ষমতাসীনরা তাকে ‘ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ফেলে দিচ্ছে’।  

উদ্ভাবনী চিন্তা করতে হবে: আইনমন্ত্রী

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (জেএটিআই) জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর দায়রা জজদের ২৫তম জুডিসিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন আইনমন্ত্রী। সেখানে তিনি মামলাজট কমাতে উদ্ভাবনী চিন্তার পাশাপাশি বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতির ওপর জোর দেন।

মন্ত্রী বলেন, গতানুগতিক ধারায় মামলাজট কমাতে গেলে বেশ সময় লাগবে। সেজন্য এ ব্যাপারে অবিরাম চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশে একটি সুদক্ষ ও বিশ্বমানের বিচার বিভাগ গড়ে তুলতে চায়। এর অংশ হিসেবে বিচার বিভাগের জন্য অত্যাধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। বিচারকদের দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে মাত্র সাড়ে তিন বছরে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, চীন ও জাপানে ৮৫৫ জন বিচারককে উন্নতমানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। করোনার প্রার্দুভাব না হলে এ সংখ্যা এতদিনে হয়ত দেড় হাজার ছাড়িয়ে যেত।”

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক গোলাম কিবরিয়া বক্তব্য রাখেন।