রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
যৌন হয়রানি বন্ধে ২০১১ সালে হাই কোর্টের একটি আদেশে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয় বলে কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ২০১১ সালে যৌন হয়রানি বন্ধে হাই কোর্ট সাত দফা নির্দেশনা দিয়েছিল। সেই নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
“যৌন হয়রানি রোধকল্পে বিদ্যমান আইনের পাশাপাশি নতুন আইনের প্রয়োজনীয়তার আছে কী না সে ব্যাপারে আরো যাচাই বাছাই করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।”
বিচারপতি মো. ইমান আলী ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের হাই কোর্ট বেঞ্চ ২০১১ সালের ২৬ জানুয়ারি যৌন হয়রানি বন্ধে সাত দফা নির্দেশনাসহ রায় দেয়। তাতে ইভ টিজিং, স্টকিং (অসৎ উদ্দেশ্যে উত্ত্যক্ত) করাকে যৌন হয়রানি হিসেবে বিবেচনা করে আইনের অন্তর্ভুক্ত, প্রতি থানায় পৃথক সেল গঠন করে প্রতিবেদন পেশ এবং সাইবার ক্যাফে মনিটরিংয়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান জানান, যৌন হয়রানি বন্ধে সচেতনতা বাড়াতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গে একটি বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “যৌন হয়রানি ও সহিংসতা বন্ধে সচেতনতা একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। সেজন্য আমরা এ বিষয় আরো কীভাবে কাজ করা যায় সেলক্ষ্যে তথ্য মন্ত্রণালয় সংসদীয় কমিটির সঙ্গে একটি বৈঠক করব।
“অনেক সময় সহিংসতার পর গণমাধ্যমে লাশের ছবি আসছে। দেখা যায় সারি সারি লাশের ছবি। এসবের জন্য অনেকের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ে। সে বিষয় নিয়ে করণীয় নির্ধারণেও আলোচনা হবে।”
সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পার্লামেন্টারিয়ানস অন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেল্পমেন্টের (বিপিএডি) সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়।
শহীদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান, শামসুল হক টুকু, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, রুমিন ফারহানা, সেলিম আলতাফ জর্জ এবং খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন অংশ নেন।
সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদ, আ স ম, ফিরোজ, আ ফ ম, রুহুল হক, হাবিবে মিল্লাত, শিরিন আক্তার, নাহিদ ইজাহার খান, আদিবা আনজুম মিতা, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, শামীমা আক্তার খানম বিশেষ আমন্ত্রণে যোগ দেন।