শনিবার বিকালে স্বপন রেজা (২৫) নামের ওই ব্যক্তিকে রামপুরা থেকে গ্রেপ্তার করে রামপুরা থানা পুলিশ।
এর আগে গত সোমবার রাতে ঘটনার পরপরই শহিদ ব্যাপারী (২২) নামে আরেক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছিল পুলিশ।
রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিস্ফোরক দ্রব্য বহন এবং লোকজন জড়ো করে বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় এ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার স্বপন রেজাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগে গ্রেপ্তার শহিদ ব্যাপারীকে জিজ্ঞাসাবাদে দুই দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
একই ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করে।
এ মামলায় ১৭ বছরের এক কিশোরকে ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার হাতিরঝিলের মীরেরবাগ এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। তার বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি বলে জানান হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক শাহজাহান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ কিশোরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। তিনি একটি গার্মেন্টসের হেল্পার বলে জানতে পেরেছি। ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেন তিনি।
সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর গত ৭ নভেম্বর থেকে বাসের ভাড়া ২৭ শতাংশ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ নভেম্বর অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে ২৪ নভেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির চাপায় নিহত হন নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান।
এরপর থেকে নিরাপদ সড়ক, শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়াসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে গত সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় গ্রিন অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় নিহত হন রামপুরার একরামুন্নেসা স্কুলেরএসএসসি পরীক্ষার্থী মো. মাঈনুদ্দিন।
এ ঘটনায় রাতে উত্তেজিত জনতা ও বাসসহ আটটি বাসে আগুন দেয় এবং ভাঙচুর করে আরও চারটি বাস। তারা সেসময় সড়ক অবরোধও করে।