বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ব্যাংকে চেক পাঠিয়েছিলেন টাকা তোলার জন্য। কিন্তু চেকের ওপর বাংলায় ‘ডিসেম্বর’ লেখায় টাকা না দিয়ে চেক ফেরত দেয় ব্যাংক।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মন্ত্রী বলেছেন, বাংলা ভাষার এমন ‘অবমাননা’ তিনি সইতে পারেননি। সেজন্যই ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান।
সকালে সেই ফেইসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘মন চাইছে আত্মহত্যা করি। একটি চেকে আমি ডিসেম্বর বাংলায় লিখেছি বলে কাউন্টার থেকে চেকটি ফেরত দিয়েছে। কোন দেশে আছি?’
বিকালে সেই পোস্ট এডিট করে তিনি লেখেন, “আজ সকালে একটি চেকে আমি “ডিসেম্বর” বাংলায় লিখেছি বলে কাউন্টার থেকে চেকটি ফেরৎ দিয়েছিলো। এরপর সব ঠিক হয়েছে। এটা আমাদেরই বাংলাদেশ। প্রমাণিত হলো ন্যায়সঙ্গত প্রতিবাদ করলে জয়ী হওয়া যায়। সেই চেকের টাকা ভাঙানো হয়েছে। জয় বাংলা।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে মোস্তাফা জব্বার বলেন, “আমি সবসময় বাংলায় চেক লিখি। আজ সকাল বেলা একটা চেক দিয়েছিলাম। সেই চেকে আমি ২ লিখেছি অংকে, ডিসেম্বর লিখেছি বাংলা হরফে, এবং ২১ লিখেছি।
“আমি ব্যাংকের কাছে জানতে চাইলাম কেন চেক বাউন্স করানো হয়েছে? তারা আমাকে জানালো যে ডিসেম্বর বাংলায় লিখেছি বলে তারা ওই চেকে টাকা দেয়নি। এই কথা শুনে আমার রক্ত মাথায় চড়ে গেছে গিয়েছিল। আমি বলেছি রক্ত দিয়ে বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠা করেছি, দেশ স্বাধীন করেছি, এই দেশের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। এই দেশে বাংলায় ডিসেম্বর লিখতে পারব না- এটা তো মেনে নেওয়া যায় না।”
মন্ত্রী বলেন, “তাৎক্ষণিকভাবে আমি আসলে একটু আবেগপ্রবণ হয়ে স্ট্যাটাসটা দিয়েছিলাম। পরে আমি বিষয়টি নিয়ে ব্যাংকের দায়িত্বরতদের সাথে কাথা বলেছি। তখন তারা তাদের ভুল স্বীকার করেছে। ডিসেম্বর বাংলায় লেখার জন্য চেক বাউন্স করার নিয়ম তাদের কোনো বিধিবিধানে নেই। পরে তারা টাকা দিয়ে দিয়েছে।”
কোন ব্যাংক এ কাজ করেছে তা প্রকাশ করেননি মোস্তাফা জব্বার। তবে সেই ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে যে কথা হয়েছে, সে কথা তিনি বলেছেন।
“তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে, ক্ষমা চেয়েছে। তারা বলেছে, বাংলাদেশে এই ঘটনা ঘটতে পারে না। কেউ দুঃখ প্রকাশ করলে তো আর তাকে শাস্তি দেওয়া যায় না।”