এ নিয়ে প্রতিবেশি দেশটি থেকে কেনা তিন কোটি ডোজ টিকার মধ্যে এক কোটি ২৫ লাখ ডোজ টিকা পেল বাংলাদেশ।
বুধবার রাত আটটার দিকে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি উড়োজাহাজে এসব টিকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে সরকারের কেনা ৪৫ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। বিমানবন্দরে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের কর্মকর্তারা এসব টিকা গ্রহণ করেছেন।
“এগুলো টঙ্গীতে আমাদের ওয়্যার হাউজে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”
দেশে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই গত বছরের নভেম্বরে সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ টিকা কিনতে চুক্তি করে সরকার।
চুক্তি অনুযায়ী, এ বছরের ২৫ জানুয়ারি প্রথম চালানে সরকারের কেনা টিকার ৫০ লাখ ডোজ, ২৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় চালানে টিকা আসে ২০ লাখ ডোজ।
এছাড়া ভারত সরকারের উপহার হিসেবে ২১ জানুয়ারি ২০ লাখ ডোজ এবং ২৬ মার্চ ১২ লাখ ডোজ টিকা পায় বাংলাদেশ।
টিকার প্রথম চালান আসার পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রথম দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর পর ভারতে করোনাভাইরাস মহামারী ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়লে টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটির সরকার। ফলে সেরাম ইনস্টিটিউট টিকা পাঠানো বন্ধ করে দেয়।
এরপর থেকে নানান চেষ্টা ও আলোচনা চললেও সেখান থেকে আর টিকা পায়নি বাংলাদেশ।
এর প্রায় সাত মাস পর টিকা পাঠানো শুরু করে ভারত; গত ৯ অক্টোবর আসে ১০ লাখ ডোজ।