কুয়েতে চূড়ান্ত রায়েও পাপুলের সাজা বহাল

অর্থ ও মানবপাচারের মামলায় বাংলাদেশের সাবেক এমপি শহিদ ইসলাম পাপুলের সাত বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছে কুয়েতের সর্বোচ্চ আদালত।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2021, 01:36 PM
Updated : 28 Nov 2021, 01:51 PM

রোববার দেশটির কোর্ট অব ক্যাসেশন এই রায় দিয়েছে বলে জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে দেওয়া ২৭ লাখ কুয়েতি দিনারের (প্রায় সাড়ে ৭৬ কোটি টাকা) অর্থদণ্ডও বহাল রেখেছে আদালত। রায়ে বলা হয়েছে, সাজাভোগের পর কুয়েত থেকে দেশে ফেরত পাঠাতে হবে পাপুলকে।

কুয়েতের আরবি ভাষার দৈনিক আল কাবাস লিখেছে, এ রায়ের মাধ্যমে পাপুলের মামলার বিচারিক কার্যক্রমের সমাপ্তি টেনেছে দেশটির সর্বোচ্চ আপিল আদালত।

অর্থ ও মানবপাচার এবং ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে গত বছর জুনে কুয়েতে গ্রেপ্তার হন পাপুল। ব্যবসার সূত্রে সেখানে তার বসবাসের অনুমতি ছিল।

ওই মামলার বিচার শেষে গত ২৮ জানুয়ারি তাকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় কুয়েতের একটি আদালত। দুই পক্ষের আপিলের পর পাপুলের সেই সাজা বাড়িয়ে সাত বছর করেছিল দেশটির উচ্চ আদালত।

এদিকে দণ্ডিত হওয়ায় বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সদস্যপদ হারাতে হয় পাপুলকে। সেই আসনে ইতোমধ্যে উপ নির্বাচনও হয়েছে।   

বাংলাদেশের কোনো আইনপ্রণেতার এভাবে বিদেশে দণ্ডিত হওয়ার এবং সাজার কারণে পদ বাতিলের ঘটনা এটাই প্রথম।

মামলার তদন্তকালে পাপুলের সহযোগী হিসাবে কুয়েতের দুই পার্লামেন্ট সদস্য সাদুন হাম্মাদ আল-ওতাইবি এবং সালাহ আবদুলরেদা খুরশিদের নাম এসেছিল। কিন্তু জানুয়ারিতে বিচারিক আদালতে তারা দুজন খালাস পেয়েছিলেন।

সোমবার আপিল আদালত সালাহ খুরশিদকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে এবং আল-ওতাইবির খালাসের আদেশ বহাল রেখেছে।

অন্যদিকে, পাপুলের কাজে সহায়তাকারী হিসাবে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা মাজেন আল জারাহ এবং কুয়েতি দুই কর্মকর্তার সাজাও চার বছর থেকে বাড়িয়ে সাত বছর করেছে আপিল আদালত।

সর্বোচ্চ আদালতে এই কুয়েতি নাগরিকদের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডও বহাল রেখেছে বলে জানিয়েছে গালফ নিউজ।