আগামী দুই অধিবেশনের মধ্যে ইসি গঠনের আইন: আইনমন্ত্রী
সংসদ প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 28 Nov 2021 02:46 PM BdST Updated: 28 Nov 2021 02:59 PM BdST
-
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ফাইল ছবি
নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি আইন করার প্রস্তাব আগামী দুটি অধিবেশনের মধ্যেই সংসদে তোলার আশার কথা শুনিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রোববার জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) বিল-২০২১’ বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য দেওয়ার সময় আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিলটি বাছাই কমিটি পাঠানোর প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য দেওয়ার সময় বিএনপির হারুনুর রশীদ ও জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের কথা বলেন। চুন্নু ওই আইনটির পাশাপাশি উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগেও আইন করার দাবি করেন।
জবাবে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিচারক নিয়োগ আইন এবং নির্বাচন কমিশন গঠন আইন- দুটোরই খসড়া করা হচ্ছে।
সংবিধান অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির হাতে। গেল এক দশকে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে সর্বশেষ দুই নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিয়েছিলেন।
সাংবিধানিক এ সংস্থার সদস্যদের নিয়োগে আইন করার কথা থাকলেও স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে তা হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও এ বিষয়ে মতভেদ আছে। সাম্প্রতিক সময়ে এ নিয়োগ নিয়ে বিরোধী দলগুলোর সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে সরকারকে।
৫ সদস্যের বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। সরকারের তরফ থেকে এরই মধ্যে জানানো হয়েছে, পূর্ববর্তী দুই কমিশনের মত আসন্ন নির্বাচন কমিশনও সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি।
সম্প্রতি সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতের প্রসঙ্গ টেনে আইনমন্ত্রী সংসদে বলেন, “তারা একটা আইনের ড্রাফট (নির্বাচন কমিশন গঠনে) করেছে, সেটা দিতে এসেছিলেন। উনারা বলেছিলেন এটাতে সবই আছে। এটা অধ্যাদেশ আকারে করে দিলেও তো হয়ে যায়। তখন আমি স্পষ্ট বলেছি, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের এই আইন সংসদে আলোচিত না হওয়া পর্যন্ত আইনটি করা ঠিক হবে না। এতে আমি বোধ হয় সংসদ সদস্যদের সম্মান কমাইনি, বাড়িয়েছি।
আইনমন্ত্রী বলেন, “আমি মনে করি এটা সংসদে আলোচিত হওয়া উচিত। আমার পরিকল্পনা, এর (চলতি সংসদের) পরের সংসদ বা তার পরের সংসদে আমরা এটা আলাপ করব। কিন্তু অন্যান্য আনুসাঙ্গিক কাজ তাড়াহুড়া করে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে করা যাবে না বলেই আমি বলেছি।… সে জন্য আমি আশ্বস্ত করিনি। তবে দুটোই আমরা করার চেষ্টা করছি।”
সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা আছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে এবং এ বিষয়ে প্রণীত কোনো আইনের বিধান সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ দেবেন।
কিন্তু সংবিধানের আলোকে ওই আইন না হওয়ায় প্রতিবারই নির্বাচন কমিশন গঠনে জটিলতা দেখা দেয়। সেই জটিলতা এড়াতে গত দুইবার সার্চ কমিটির ব্যবস্থা হলেও বিতর্ক থামেনি।
২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ইসি গঠনের জন্য আইনের একটি খসড়া তৈরি করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আইনটি হয়নি।
-
রাজনৈতিক শক্তি, আমলাতন্ত্র পুলিশের পরিবর্তন চাইবে না: শহীদুল
-
স্ত্রীর পাশে শায়িত হলেন গাফ্ফার চৌধুরী
-
গাফফার চৌধুরীকে সাংবাদিকদের শ্রদ্ধা
-
বাহরাইনে ছবির গল্পে-কথায় এক টুকরো বাংলাদেশ
-
প্রচার শুরু: মাঠ পর্যায়ে যাচ্ছেন সিইসি ও কমিশনাররা
-
শহীদ মিনারে শনিবার দুপুরে গাফফার চৌধুরীকে শ্রদ্ধা
-
শান্তি মিশনে নিহত ২ বাংলাদেশির জন্য ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড’ পদক
-
কোভিডে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে গেছি: পিএসসি চেয়ারম্যান
সর্বাধিক পঠিত
- অবিশ্বাস্য পথচলা শেষে শিরোপা হাসি রিয়ালেরই
- ২৫ বছরের চেষ্টা বিফল, বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে কানাডা
- এগিয়ে আসছে রুশ বাহিনী, পূর্বাঞ্চল ছাড়তে পারে ইউক্রেইনীয় সেনারা
- দুর্দান্ত কোর্তোয়া, অবিশ্বাস্য কোর্তোয়া
- ‘৩০ বলে ৩০ রান থেকে ৫০ বলে ৯০ করে ফেলতে পারে বাটলার’
- ‘আর্জেন্টিনার জন্য প্রতিটি মিনিট, ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ’
- ‘ব্যালন ডি’অর জিততে মেসি-রোনালদো হও, নয়তো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতো’
- টিভি সূচি (শনিবার, ২৮ মে ২০২২)
- ইতিহাস গড়লেন আনচেলত্তি
- ইউক্রেইনের ‘শত্রু’ তালিকায় উঠল কিসিঞ্জারের নাম