শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হাসপাতালের নিওনেটাল বিভাগে ভর্তি মেয়ে শিশুটির মৃত্যু হয় বলে মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানিয়েছেন।
স্থানীয় তরুণদের একটি দল শুক্রবার রাতে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল। হেয়ার স্ট্রিটের কোনো একটি ভবন থেকে শিশুটিকে ‘সড়কে ছুড়ে ফেলা হয়’ বলে তাদের ধারণা।
নবজাতকটিকে যারা রাস্তা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন, শিক্ষার্থী অপূর্ব রবিদাস তাদের একজন।
তিনি জানান, কয়েকজন বন্ধু মিলে তারা হেয়ার স্ট্রিট এলাকায় রাস্তার পাশে বসে মোবাইলে গেমস খেলছিলেন। রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ একটি শব্দ শুনতে পেয়ে তারা এগিয়ে যান বিষয়টা দেখতে।
“সেখানে একটা ১০ তলা ভবন, আর ভবনের সামনের দিকে একতলা একটি টিনশেড রয়েছে। ওপর থেকে ওই টিনশেডের উপরে পড়ে গড়িয়ে রাস্তার পড়ে শিশুটি।”
শব্দ শুনে আশপাশের লোকজনও জড়ো হয়। কিন্তু শিশুটির কোনো অভিভাবকের খোঁজ না পেয়ে স্থানীয়দের পরামর্শে তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
কিন্তু সেই হাসপাতাল শিশুটিকে ভর্তি না রাখায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন অপূর্ব ও তার সঙ্গীরা।
সেখানে শিশুটিকে পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হন, সে তখনও বেঁচে আছে। তারপর তাকে নিওনেটাল ওয়ার্ডে ভর্তি করে নেওয়া হয়। কিন্তু সকালে তার মৃত্যুর খবর আসে।
অপূর্ব রবিদাস বলেন, আশপাশের কোনো ভবন থেকেই শিশুটিকে ‘ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে’ বলে তার এবং তার বন্ধুদের ধারণা।