ঝরে পড়া ঠেকাতে কমাতে হবে বেতনের ‘বোঝা’: গবেষণা

শহরের প্রান্তিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে স্কুলের বকেয়া বেতনসহ অন্যান্য ফির 'বোঝা' কমানোর সুপারিশ এসেছে একটি জরিপ প্রতিবেদনে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2021, 06:19 PM
Updated : 24 Nov 2021, 06:19 PM

‘রিডিউসিং স্কুল ড্রপআউট ইন আরবান স্লামস অব বাংলাদেশ: ইমপ্যাক্ট অব কোভিড-১৯’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট কালেক্টিভের (আরডিসি) সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বুধবার ঢাকার ব্র্যাক সেন্টার ইনে এক অনুষ্ঠানে এ গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন।

শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে শিক্ষক এবং অভিভাবকের নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।

জরিপের তথ্য তুলে ধরে অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। সেজন্য জরিপে অংশগ্রহণকারীরা মনে করে, সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি স্কুলগুলোরও এই ক্ষতিপূরণের জন্য পরিকল্পনা করতে হবে। এক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া জরুরি।

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সেন্ট্রাল অ্যান্ড নর্দার্ন রিজিওন প্রধান আশিক বিল্লাহ শিশু সুরক্ষা নিশ্চিতে সমন্বিতভাবে আরো মনোযোগ দেওয়ার তাগিদ দেন।

তিনি বলেন, “বস্তিতে এবং গ্রামীণ জনপদে যে শিশুরা হতদরিদ্র পরিবারে বসবাস করে, তাদের স্কুল ফি মওকুফ করা প্রয়োজন। কারণ মহামারীর সময়ে তাদের পরিবারের রোজগার অনেকাংশ ক্ষেত্রে কমেছে।”

শিক্ষার্থীদের পুনরায় পড়াশোনায় ফিরিয়ে আনতে প্রতিকারমূলক শিক্ষা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিতে কাজ করার তাগিদ দেওয়া হয় প্রতিবেদনে।

“শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নতমানের শিক্ষা নিশ্চিতে প্রয়োজন স্কুলে সুশাসন, আর্থিক সহায়তায় স্বচ্ছতা, উন্নয়ন প্রকল্প এবং বিকল্প শিক্ষাব্যবস্থার সুযোগ।”

আরডিসির সহায়তায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪০টি স্কুলে এবং ৬৭৩টি গৃহস্থালিতে বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত গবেষণাটি পরিচালনা করে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, “স্কুল বন্ধের এক সপ্তাহের মধ্যেই সংসদ টিভি ক্লাসরুম ও অনলাইন ক্লাসরুমের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে গেছি আমরা। প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জও ছিল।

“আমরা লক্ষ্য রাখছি- যেন সামনে এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য আমাদের আরো জোরালো প্রস্তুতি থাকে।”

অপরাজেয় বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দা তাহমিনা আক্তার অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।