মঙ্গলবার বিএমআরসির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো.রুহুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবারই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
“ফেইজ-১ ট্রায়ালের জন্য তাদের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর আগে তারা প্রাণিদেহের ওপর প্রয়োগ করেছিলেন। এবার তা মানুষের শরীরে প্রয়োগের জন্য আমরা অনুমোদন দিয়েছি।”
এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “সবগুলো ধাপে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর তাদের এ টিকা বাজারজাত করার অনুমোদন দেবে।”
এর আগে বানরের দেহে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ‘ভালো’ ফল পাওয়ার কথা জানিয়েছিল তারা।
গত ১ নভেম্বর বানরের দেহে বঙ্গভ্যাক্স টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফলের প্রতিবেদন বিএমআরসিতে জমা দেয় কোম্পানিটি।
সেদিন গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন, ওই প্রতিবেদন জমার মধ্য দিয়ে বিএমআরসির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পূর্বশর্তসহ সব পর্যবেক্ষণের যথাযথ উত্তর দেওয়া শেষ হয়েছে।
বিএমআরসি অনুমোদন দিলে নভেম্বরেই মানবদেহে এ টিকার পরীক্ষা শুরু করতে পারবেন বলে তখন জানিয়েছিলেন ওই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মার সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক দেশে করোনাভাইরাসের মহামারী শুরুর পর গত বছরের ২ জুলাই কোভিড টিকা তৈরির কাজ শুরুর কথা জানায়।
এরপর খরগোশের উপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ‘সফল’ হয়েছে দাবি করে মানবদেহেও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করতে গত জানুয়ারিতে বিএমআরসিতে আবেদন করেছিল গ্লোব বায়োটেক।
তখন বিএমআরসি বানর কিংবা শিম্পাঞ্জির উপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে সংশোধিত আবেদন জমা দিতে বলে। তা মেনে ৫৬টি বানরের উপর পরীক্ষা চালিয়ে প্রতিবেদন দেয় তারা।
আরও পড়ুন: