হাতি মারা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হাই কোর্টের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 22 Nov 2021 09:39 PM BdST Updated: 22 Nov 2021 09:39 PM BdST
-
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় ধান ক্ষেত থেকে গত ৬ নভেম্বর হাতিটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বনবিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ধানক্ষেতে লাগানো বিদ্যুতের তারে তড়িতাহত হয়ে হাতিটির মৃত্যু হয়।
হাতি হত্যা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
Related Stories
কী পদক্ষেপ বা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে পরিবেশ সচিব, তথ্য সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক ও বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালককে প্রতিবেদনও দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেয়।
বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুসারে ১২টি ‘এলিফ্যান্ট করিডোর’সহ অন্যান্য করিডোরগুলোকে সংরক্ষিত অঞ্চল ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং হাতি হত্যা বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
পরিবেশ সচিব, আইন সচিব, তথ্য সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক ও বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক, জামালপুর, শেরপুর, রাঙামাটি, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বান্দরবানের জেলা প্রশাসকসহ ২০ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খান খালিদ আদনান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
খালিদ আদনান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বন অধিদপ্তর থেকে জরিপ করে বন্য হাতির অবাধ চলাচলের জন্য ১২টি করিডোর নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুসারে এসব করিডোর সংরক্ষিত অঞ্চল ঘোষণা করা হয়নি।
“ফলে এসব করিডোর কী অবস্থায় আছে, আমাদের জনা নেই। এসব করিডোর সংরক্ষণ না করার কারণেই লোকালয়ে এসে মারা পড়ছে হাতি। করিডোরগুলো সংরক্ষণ করলে মানুষের হাতে এভাবে হাতি মারা পড়ত না।”
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্য হাতি হত্যা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রোববার হাই কোর্টে সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করেন ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা আদনান আজাদ, তার স্ত্রী ফারজানা ইয়াসমিন ও এলিফ্যান্ট রোডের বাসিন্দা খান ফাতিম হাসান।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে তিনটি হাতি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়।
প্রতি বছর ১২ অগাস্ট পালন করা হয় বিশ্ব হাতি দিবস। এ দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ছিল- ‘হাতি করলে সংরক্ষণ, রক্ষা পাবে সবুজ বন’।
সরকারি হিসাবে, দেশে এখন ২৫০ থেকে ৩০০ হাতি টিকে আছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাতির চলার পথ দখলমুক্ত করতে হবে, সেই সঙ্গে রক্ষা করতে হবে বনের স্বাস্থ্য। না হলে কেবল হাতি নয়, অনেক বন্যপ্রাণীর অস্তিত্বই আর টেকানো যাবে না।
-
রাজনৈতিক শক্তি, আমলাতন্ত্র পুলিশের পরিবর্তন চাইবে না: শহীদুল
-
স্ত্রীর পাশে শায়িত হলেন গাফ্ফার চৌধুরী
-
গাফফার চৌধুরীকে সাংবাদিকদের শ্রদ্ধা
-
বাহরাইনে ছবির গল্পে-কথায় এক টুকরো বাংলাদেশ
-
প্রচার শুরু: মাঠ পর্যায়ে যাচ্ছেন সিইসি ও কমিশনাররা
-
শহীদ মিনারে শনিবার দুপুরে গাফফার চৌধুরীকে শ্রদ্ধা
-
শান্তি মিশনে নিহত ২ বাংলাদেশির জন্য ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড’ পদক
-
কোভিডে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে গেছি: পিএসসি চেয়ারম্যান
সর্বাধিক পঠিত
- ২৫ বছরের চেষ্টা বিফল, বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে কানাডা
- বাটলারের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে ফাইনালে রাজস্থান, কোহলিদের বিদায়
- ‘আর্জেন্টিনার জন্য প্রতিটি মিনিট, ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ’
- এগিয়ে আসছে রুশ বাহিনী, পূর্বাঞ্চল ছাড়তে পারে ইউক্রেইনীয় সেনারা
- টিভি সূচি (শনিবার, ২৮ মে ২০২২)
- ‘৩০ বলে ৩০ রান থেকে ৫০ বলে ৯০ করে ফেলতে পারে বাটলার’
- ‘ব্যালন ডি’অর জিততে মেসি-রোনালদো হও, নয়তো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতো’
- ইউক্রেইনের ‘শত্রু’ তালিকায় উঠল কিসিঞ্জারের নাম
- রিয়াল-লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ানদের লড়াইয়ে রোমাঞ্চিত পেলে
- তিন সংস্করণেই এক নম্বর হবেন বাবর, কার্তিকের ভবিষ্যৎবাণী