গ্যাটকো মামলা: অভিযোগ গঠনের শুনানি ফের পেছাল

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামির বিরুদ্ধে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ আবার পিছিয়ে ১৫ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছে আদালত।

আদালত প্রতিবদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Nov 2021, 12:43 PM
Updated : 16 Nov 2021, 12:43 PM

মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন খালেদা জিয়ার আইনজীবীর সময় আবেদন মঞ্জুর করে নতুন তারিখ ঠিক করে দেন।

এদিন মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি।

তার আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার ও সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর আবেদন করেন।

শুনানি শেষে আদালত পরবর্তী এ তারিখ নির্ধারণ করে দেন বলে জানান আইনজীবী মাসুদ।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী।

তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১৩ মে দুদকের উপপরিচালক জহিরুল হুদা খালেদাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আট জন মারা যাওয়ায় এখন এ মামলায় আসামির সংখ্যা ১৭ জন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন।

আসামিদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, এম শামছুল ইসলাম, এমকে আনোয়ার, আকবর হোসেন, আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, প্রাক্তন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন ও খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রাহমান কোকো মারা গেছেন।

আর একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, আকবর হোসেনের স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন ও একেএম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, প্রাক্তন নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রাক্তন সদস্য একে রশিদ উদ্দিন আহমেদ, গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লি. (গ্যাটকো) এর পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

দুর্নীতির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ইতোমধ্যে ১০ ও সাত বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।

দেশে কেরানাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছর ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিত করে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। পরে তা আরও বাড়ানো হয়।

বর্তমানে খালেদা রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।