রোববার ঢাকার এসিড দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়ার আদালতে আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন বিচারক। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মামলাটির বিচার শুরু হলো।
মিলার সাবেক স্বামী পারভেজ সানজারীর পিতা ২০১৯ সালে এ মামলা দায়ের করেছিলেন।
তার আইনজীবী ইশরাত হাসান ও আল আমীন খান অভিযোগ গঠনের আদেশের বিষয়টি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর সহকারী পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ মামলায় মিলা ও পিটারকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি মিলা ও তার স্বামী সানজারীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে মিলা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা, কুৎসা রটনা করে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টাসহ বিভিন্ন সময় প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ আনেন সানজারী।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়, ২০১৯ সালের ২ জুন সন্ধ্যায় সানজারী বাসা থেকে মোটরসাইকেলে করে বের হলে জন পিটার হালদার ওরফে কিম (২৮) নামে এক ব্যক্তি তার পথরোধ করেন। ওই সময় মিলাকে রাস্তার পাশে আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতে পান সানজারী।
কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে বুঝতে পেরে তিনি স্থানত্যাগ করার চেষ্টা করলে দুই নম্বর আসামি তার কাঁধে থাকা ব্যাগ থেকে একটি বোতলে থাকা তরল দাহ্য পদার্থ তাকে লক্ষ্য করে ছুঁড়ে মারেন।
এতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশসহ দুই হাতের কবজির উপর থেকে দুই পা, পেট ও পুরুষাঙ্গের অংশ বিশেষ পুড়ে যায় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। সানজারীর চিৎকার ও চেচামেচিতে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় সানজারীর বাবা এসএম নাসির উদ্দিন উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন।